স্কুলে শিশুর যৌন হেনস্তা রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হাই কোর্টের


রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি মনিটারিং কমিটি তৈরি করতে হবে৷ নিয়োগ করতে হবে কাউন্সেলর, স্কুলে রাখতে হবে সাজেশন বক্সও৷ স্কুলে শিশুদের যৌন হেনস্তা রুখতে এমনই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট৷ বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া জানিয়েছেন, অবিলম্বে স্কুলগুলিতে আদালতের নির্দেশিকা কার্যকর করতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ শিশুদের যৌন হেনস্তা  রুখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করেছে কিনা, তা দেখার জন্য একটি নোডাল বডি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ঘটনা৷ দক্ষিণ শহরতলির জিডি বিড়লা স্কুলে চার বছরের এক শিশুকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল শহর৷ ঘটনায় স্কুলেরই দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সমস্ত স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আইনজীবী  ফিরোজ এডুলজিকে আদালত বান্ধব নিয়োগ করেন হাই কোর্টের বিচারপতি নাদিয়া পাথেরিয়া৷ শহরের স্কুলগুলিতে শিশুরা ঠিক কতটা নিরাপদ?  তা খতিয়ে দেখে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেন তিনি৷ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্কুলে যৌন হেনস্তা রুখতে শুক্রবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট৷

নির্দেশিকায় কী বলেছেন হাই কোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া? তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, শহরের প্রতিটি স্কুলে সেফটি ও সিকিউটিরি কমিটি গঠন করতে হবে৷কমিটির মেয়াদ একবছর৷ শিশুদের যৌন হেনস্তা রুখতে স্কুলের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ও স্কুলের কর্মী-অভিভাবকদের সচেতন করার কাজ করবেন সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির সদস্যরা৷ নজরদারিও চালাবেন তাঁরা৷ শুধু তাই নয়, প্রতিটি স্কুলে নিয়োগ করতে হবে কাউন্সেলর, রাখতে হবে সাজেশন বক্সও৷ বস্তুত, এ বছরের শুরুতেই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে শিশুদের যৌন হেনস্তা রুখতে  নির্দেশিকা জারি করেছে সিবিএসই-আইসিএসই বোর্ড৷ সেই নির্দেশিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে কলকাতা হাই কোর্ট৷