২০২০ সালে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ খালি হবে, ঘোষণা কেন্দ্রের মন্ত্রী


পাটনা: ১৫ বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি৷ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে গিয়েছেন নীতীশ কুমার৷ কিন্তু এখন তাঁর মনে হচ্ছে অনেক ক্ষমতা ভোগ করেছেন৷ সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর৷ তাই ২০২০ সালের পর মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান নীতীশ কুমার৷ এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র খুশওয়াহা৷

রাজনীতির অলিন্দ্যে নীতীশ ও খুশওয়াহা দু'জনেই এনডিএ শিবিরের লোক৷ কিন্তু খুশওয়াহা ও নীতীশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়৷ সেই খুশওয়াহা আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ বুধবার তিনি তাঁর দল আরএলএসপি'র একটি সভায় দাবি করেন, নীতীশ কুমার ক্ষমতার সম্পৃক্তিকরণের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন৷ সেই জায়গা থেকে তাঁর আর বিশেষ কিছু করার নেই৷ তাই এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করছেন৷

উপেন্দ্র জানান, নীতীশ কুমারকে তাঁকে ছাড়া ভালো কেউ চেনেন না৷ কিন্তু তাই বলে তিনি ৬৭ বছরের বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে জোর করে ইস্তফা দিতেও বলছেন না৷ তাঁর যখন ইচ্ছে হবে সরে যাবেন৷ কিন্তু ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর নীতীশ এখন সরে দাঁড়াতে চান৷ একবার তাঁর কাছে সেই ইচ্ছার কথাও জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷ দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর৷

উপেন্দ্রর এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি নীতীশ কুমারের শিবির থেকে৷ তবে উপেন্দ্রর মন্তব্যকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ তাদের মতে, এমনিতেই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়৷ গত মাসে কারোর নাম না নিয়ে উপেন্দ্র বলেছিলেন, বিহারের এক নেতা চান না নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হোক৷ নাম না নিলেও নীতীশকে যে তিনি নিশানা করেছেন তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই৷

নীতীশ ও উপেন্দ্রের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হয় বিহারের আসন ভাগাভাগির পর৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করতেই খুশওয়াহা চলে যান লালু পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে মিটিং করতে৷ বুধবার আবার আলাদা করে বৈঠক করেন এনডিএ'র আরোও এক সহযোগী রামবিলাস পাসওয়ানের সঙ্গে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে জেডি(ইউ)-বিজেপির মধ্যের আসনরফা নিয়ে অন্যান্য সহযোগী দলগুলি অসন্তুষ্ট সেই বার্তা দিতেই উপেন্দ্র খুশওয়াহার এই তৎপরতা৷