পঞ্জাবে ছাত্রীদের নগ্ন করে তল্লাশি শিক্ষিকার


স্কুলের শৌচাগারে পড়ে ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড। এই দেখে ছাত্রীদের নগ্ন করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে বদলির মুখে স্কুল শিক্ষিকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার ফাজিকা জেলার কুন্দল গ্রামের একটি গার্লস স্কুলে। ছাত্রীদের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্তভার পড়েছে রাজ্যের শিক্ষা সচিব কিষাণ কুমারের উপরে। যতক্ষণ না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার বদলিও স্থগিত থাকবে।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। স্কুলের শৌচাগারে ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড দেখতে পান দুই শিক্ষিকা। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে দু'জনেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের ডেকে পাঠান। কে শৌচাগারে ব্যবহৃত প্যাড ফেলেছে তাই নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন। সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় কিছুক্ষণের মধ্যেই অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রীকে ডাকেন। তারপর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের নগ্ন করে স্যানিটারি প্যাডের হদিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চারজনকে। এরপর স্কুলের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে চলে তল্লাশি। শিক্ষিকাদের নির্দেশ শুনে ততক্ষণে কান্নায় ভেঙে পড়েছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীরা। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। শুক্রবার ছুটির পর এক ছাত্রীর ঠাকুমা বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল কর্তপক্ষের কাছে জবাবদিহি করেন। অভিযুক্ত শিক্ষিকাদের ডেকে পাঠানো হলে তাঁরা স্বচ্ছন্দে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান, যেন কিছুই হয়নি।

স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বিষয়টি ভাটিন্ডা প্রশাসনকে জানালে উত্তেজনা ছড়ায়। মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত খবর পৌঁছাতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকাকে জেরা করা হয়। প্রাথমিক জেরায় শিক্ষিকাদের দাবি, ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন কীভাবে বিনষ্ট করা হয়, তা দেখাতেই নাকি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁরা। যদিও শিক্ষিকাদের জবাবে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষাসচিবকে ওই ঘটনার তদন্তভার দিয়েছেন। আগামী সোমবারের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষিকাদের বদলি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাটিন্ডায়।