রামশাইতে ভেটরেনারি কলেজে খরচ ৩৪৬ কোটি!‌ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী


মালবাজার: ময়নাগুড়ির রামশাইতে ভেটরেনারি কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির ডিপিআরে ৩৪৬ কোটি টাকা ব্যয় দেখানোয় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ির গরুমারার কাছে টিয়াবন এলাকায় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক সভা থেকে এনিয়ে ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারিকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন তিনি।

 মুখ্যমন্ত্রীই রামশাইতে এই প্রকল্পটির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এখনও কাজ শুরু না হওয়ায় অভিযোগ আকারে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান অনন্তদেব। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি মঞ্চে উপস্থিত পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে জানতে চান তিনি। অরূপ বলেন, প্রকল্প ব্যয় বেশি হওয়ায় তিনি সেটি প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রধান সচিব অনিল ভার্মাকে পুনরায় খতিয়ে দেখতে বলেছেন। অনিল ভার্মাও মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকল্প রিপোর্টে কিছু ত্রুটি থাকার কথা জানান। এরপরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন এমন অত্যাধিক ব্যয় বহুল প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে ?‌ তিনি বলেন, একটি ভেটরেনারি কলেজ নির্মাণে এত টাকা লাগে নাকি?‌ একটা মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণেও এত টাকা লাগে না বলে জানান তিনি।

অত্যাধিক প্রকল্প ব্যয় দেখানোর জন্যই অনেক কাজ আটকে থাকে বলে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি জানান। ২০–‌২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভেটেরেনারি কলেজ তৈরির কথা বলেছেন। নতুন করে ব্যয় কমিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডিপিআর তৈরি করতে নির্দেশ দেন। ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়ও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে জানান ভুটানে বর্ষার সময় বানারহাটের হাতিনালা ভেসে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি ইতিমধ্যেই সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে হবে। প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত দুই জেলায় নতুন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদেরও দ্রুত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন তিনি।