তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালির হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বনধের ডাক ১৪ সংগঠনের, স্তব্ধ জনজীবন


অসমের তিনসুকিয়ার সাদিয়ায় ৫ বাঙালি যুবকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার থেকে অসম বনধের ডাক দিল ১৪টি সংগঠন। তার আগেই জেলায় বনধের প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার তিনসুকিয়ায় ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে অসম বেঙ্গল যুব ফেডারেশন। বনধের প্রভাবে কার্যত স্তব্ধ তিনসুকিয়া, মার্গারিটা। এনিয়ে এখনও কোনও হিংসার খবর নেই তবে জেলাজুড়ে তীব্র উত্তেজনা রয়েছে।

নাগরিকপঞ্জী নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত ছিল অসম। এর মধ্যেই বাঙালি নিধন। বৃহস্পতিবার অসমের তিনসুকিয়ায় সাদিয়ায় ওই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পেছনে উলফার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হলেও তারা এর দায় নিতে অস্বীকার করেছে। শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে উলফার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনসুকিয়ার সাদিয়া সাইখোয়াঘাটে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তাতে উলফার কোনও ভূমিকা নেই। উলফার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা মিথ্যে।

ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার থেকে অসম বনধের ডাক দিয়েছে সারা ভারত নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ সহ রাজ্যে ১৪টি সংগঠন। এদিকে আজ থেকেই বনধের ডাক দিয়েছে অন্য একটি বাঙালি সংগঠন। ওই বনধের ফলে শুক্রবার থেকেই জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে তিনসুকিয়া ও সংলগ্ন মার্গারিটায়। অসমের অন্যান্য জায়গায় জনজীবনে বনধের প্রভাব না পড়লেও তিনসুকিয়া একেবারে স্তব্ধ বলা যায়। জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ।

অসম বেঙ্গল যুব ফেডারেশনের নেতা মৃন্ময় দাস বলেন, বৃহস্পতিবার পাঁচজন বাঙালিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামালার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা তিনসুকিয়া জেলা বনধের ঘোষণা করা হয়েছে। খুনের ঘটনার সঙ্গে উলফার যোগ নেই বলে তারা দাবি করেছে। ফলে কারা ওই ঘটার সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে হবে প্রশাসনকে। মৃতদের পরিবারকে এককালীন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছি। এনআরসি বানচালের একটা চাল হতে পারে এই হত্যাকাণ্ড।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাদিয়ায় একটি দোকানে বসেছিলেন কয়েকজন যুবক। সে সময় সেখানে হাজির হয় সেনার পোশাক পর কয়েকজন অস্ত্রধারী যুবক। তারা জোর করে ৬ জনকে তুলে নিয়ে যায় ব্রহ্মপুত্রের চরে। ব্রহ্মপুত্রের ঢোলা সাদিয়া সেতুর কাছে নদীর চরে দাঁড় করিয়ে তাদের গুলি করে খুন করা হয়।