প্রতিবন্ধী স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাস চালুর আশ্বাস মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার


হলদিয়া: প্রতিবন্ধী স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাস চালু করার আশ্বাস দিলেন জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি৷ তিনি হলদিয়ার চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম আবাসিক দৃষ্টিহীন শিক্ষায়তন পরিদর্শনে এসেছিলেন৷ সেখানেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সরকার পোষিত প্রতিবন্ধী স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাস চালু করা পাশাপাশি দ্রুত শূন্য পদে নিয়োগের আশ্বাস দিলেন৷

বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের স্কুলে স্মার্ট ক্লাস চালু করা, স্কুলগুলিতে সোলার সিস্টেমে আলো ও পাখা চালানো ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে এদিন জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন সিদ্দিকুল্লা। জেলা প্রশাসনকে দ্রুত প্রস্তাব পাঠাতে বলেন। এই জেলায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের স্কুলে যে শূন্য পদগুলি রয়েছে সেখানে নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি৷

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি বলেন, এই বছর থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বইমেলাতে সংখ্যালঘু, দলিত ও আদিবাসীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে এবার জেলার জন্য বইমেলার সরকারি বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ছিল ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা৷ এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। রাজ্যের প্রতিটি সরকারি বইমেলায় এবার একই ধরনের গেট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গেটে দফতরের সরকারি লোগো ছাড়া একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেউ লাগাতে পারে। লাইব্রেরিতে বই কেনার জন্য টাকার পরিমান বাড়ানো হয়েছে। তবে এই স্কুলের পরিকাঠামো ও পঠনপাঠনের গুণমান দেখে আমাদের দফতর খুশি হয়েছে। এই ধরনের স্কুল আমাদের রাজ্যের গর্ব।
 
জনশিক্ষা দফতরের জেলা আধিকারিক মহুয়া পাত্র জানান, এদিন চৈতন্যপুর মিশনের দৃষ্টিহীন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সমস্যার পাশাপাশি জেলার অন্যান্য প্রতিবন্ধী স্কুলের শূন্য পদের বিষয়ে মন্ত্রী ও দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী দ্রুত শূন্য পদে নিয়োগের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সরকার পোষিত পাঁচটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন স্কুলে মোট শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পদের এক তৃতীয়াংশ ফাঁকা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে চৈতন্যপুর মিশনে ৫৪ টি স্থানে মধ্যে ২৮ টি স্থান ফাঁকা রয়েছে। এখানেই সবচেয়ে বেশি শূন্য পদ রয়েছে। এছাড়া হলদিয়ার মূক ও বধিরদের স্কুল শ্রুতিতে ১০ টি স্থান, ময়না ও কাঁথির তিনটি স্কুলে আরও ১০ টি শূন্য স্থান রয়েছে। সবমিলিয়ে জেলার প্রতিবন্ধী স্কুলগুলিতে ৪৮ টি শূন্য স্থান রয়েছে।

এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, বিডিও সঞ্জয় সিকদার, মিশনের মংক ইনচার্জ বিবেকাত্মানন্দজী মহারাজ।