হোমের কিশোরীদের শেখানো হত অশ্লীল নাচ–পুরুষদের আকৃষ্ট করার কৌশল


বিহার হোম যৌন নির্যাতন কাণ্ডে সিবিআই গ্রেপ্তার করল হোমের মহিলা কেয়ারটেকার সৈস্তা পরভিন ওরফে মধুকে। এই কেয়ারটেকার আবার এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছে সিবিআই। মধু ছাড়াও আরও এক‌জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বুধবার।

সিবিআই সূত্রের খবর, হোমের কিশোরীদের ধৃত মধুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত এবং সেখানে অশ্লীল নাচ ও ‌পুরুষদের কীভাবে আকৃষ্ট করতে হয় তা শেখানো হত। যদিও ওই মহিলা কেয়ারটেকার জানিয়েছে যে সে কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। ওড়না দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে মধু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলে, '‌আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি ব্রজেশ ঠাকুরের হয়ে কাজ করতাম ঠিকই, কিন্তু সে কি কাজ করত সে বিষয়ে আমার জানা ছিল না।'‌

ধৃত মধু বলে, '‌আমি সিবিআইয়ের সঙ্গে তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত। আমার কাছে কোনও গোপন তথ্য নেই। আমি জানি না ঠাকুর কোনও বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা। আমি শুধু তার সংবাদপত্র দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলাম। নিজের ব্যবসার কাজে মন্ত্রী–ভিআইপিদের খবর ছাপাতে বলত সংবাদপত্রে, যেটা করতে আমি অস্বীকার করেছিলাম।'‌ কেয়ারটেকারের গ্রেপ্তারের পরই সিবিআই ডাঃ অশ্বিনী কুমারকে গ্রেপ্তার করে। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হোমের কিশোরীদের উত্তেজনার ইঞ্জেকশন দিত বলে অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, মধু চতুর্ভুজ স্থান এলাকার বাসিন্দা। কিছু বছর আগে ব্রজেশ ঠাকুরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মধুর। সেই সময় মধু যৌনপল্লীর মেয়েদের পুর্নবাসনের কাজে যুক্ত ছিল। সূত্রের খবর, ব্রজেশ ঠাকুরের সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বে ছিল মধু। সেবা সংকল্প এভাম বিকাশ সমিতি, যে হোমে এই যৌন কেচ্ছা হয়, তার দায়িত্বেও ছিল এই মহিলা। এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীদের চাপে পড়ে ঘটনার তদন্ত দেওয়া হয় সিবিআইকে।