পুলিশকে খুন করে নরমাংস খেল বাবা-ছেলে! ভয়ানক এই কাহিনি শুনলে শিউরে উঠবেন


পুলিশ কর্মীকে খুন করে তাঁর মাংস রান্না করে খেল বাবা-ছেলে। খুন করে নরমাংস খাওয়ার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনে। মুণ্ডু কেটে খুন করার পর মধ্যযুগীয় এই নৃশংস কাণ্ডকারখানার কথা ধৃতরা স্বীকারও করেছে জেরায়। পুলিশকর্মীকে খুনের অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই এই নির্মম ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

স্থানীয়রা অবশ্য মুণ্ডুহীন দেহাংশ দেখে চমকে গিয়েছিলেন। ইউক্রেনের সালটিভকার শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টের গেটের সামনে রাখা ছিল ওই মাথাবিহীন দেহ। তা দেখে চমকানোর কারণ শুধু মুণ্ডহীন অবস্থাই ছিল না, চমকানোর কারণ ছিল ধড়ের বিভিন্ন অংশ থেকে কেটে নেওয়া মাংসপিণ্ড।

স্লাইস করে মাংস কাটা দেখে অনেকের সন্দেহ হয়েছিল। আর এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাবা-ছেলের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে কাটা মুণ্ড। পরে পুলিশ ওই বিচ্ছিন্ন মুণ্ড ও দেহকে এক পুলিশকর্মীর বলে চিহ্নিত করে। পুলিশ জানিয়েছে একটি বাক্সের ভিতরে রাখা ছিল মাথাটি।

বছর ৪৫-এর ওই পুলিশকর্মী গত ৪ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আর শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ওই বাবা-ছেলের সঙ্গে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই পুলিশকর্মীর মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জেরার মুখে ধৃতরা স্বীকার করেছে, মৃতের বুক ও পায়ের মাংস কেটে কুকারে রান্না করে খেয়েছে তারা। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।