লক্ষাধিক রামভক্ত ও ৭০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ বেষ্টিত থমথমে অযোধ্যা


অযোধ্যা: ধর্মীয় আবরণে মোড়া রাম নগরী অযোধ্যা ঘিরে সমাবেত হতে শুরু করেছেন হিন্দু সংগঠনগুলির হাজারে হাজারে কর্মী সমর্থক৷ স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহল্লায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা৷ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়ার বিতর্কিত ঘটনার কথা মনে রয়েছে তাঁদের৷ সেই কারণে কিছু এলাকা থেকে সংখ্যালঘু মুসলিমরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন৷ যদিও প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা৷

অযোধ্যা নগরীতে রাজনৈতিক রামায়ণ লেখার নব প্রক্রিয়া শুরু হবে এবার৷

রাম মন্দির তৈরির জন্য আইন চেয়ে এই ধর্ম সংসদ (ধর্মসভা) ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে৷ অযোধ্যার জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছে সর্বাত্মক৷ বন্ধু স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ কোনও হোটেল-লজ খালি নেই৷ আজ তক জানাচ্ছে এই খবর৷ রবিবার থেকে শুরু হওয়া ধর্ম সংসদ ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে আবারও অন্যতম ইস্যু হয়েছে অযোধ্যা৷ আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল ও শিবসেনার কর্মীরা গত কয়েকদিন ধরেই অযোধ্যায় আসতে শুরু করেছেন৷ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, রবিবারই দু লক্ষের বেশি জনসমাগম হতে চলছে সরযূ নদীর তীরে৷

এদিকে উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কী অবস্থান নেন তার দিকেও লক্ষ্য রাখছে রাজনৈতিক মহল৷ যদিও বিরোধী সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি এবং কংগ্রেসের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে সেনা নামানোর৷ প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছে স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা৷ রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে আধা সেনা, পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী৷ সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷

ইতিমধ্যেই সংঘ, বজরং, শিবসেনার শীর্ষ নেতারা পৌঁছে গিয়েছেন অযোধ্যায়৷ তৈরি হচ্ছে একের পর এক হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক সমীকরণ৷ কী বার্তা আসছে অযোধ্যা থেকে ? লোকসভা নির্বাচনের আগে সেটাই কি বিজেপির কাছে অক্সিজেন হতে চলেছে ? এমনই সব প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছে সরযূ নদীর তীর থেকে গোটা ভারতে৷