পুলিস কর্তার বাড়িতেই রোজ রাতে মধুচক্রের আসর!


খোদ পুলিস অফিসারের বাড়িতেই চলত দেহ ব্যবসার আসর। দিনরাত বহিরাগতদের আনাগোনা লেগেই থাকত। ঘরে বসত মদ্যপানের আসর। গভীর রাত পর্যন্ত চলত চিত্‍কার চেঁচামেচি। ঘটনাটি গড়ফা থানার অন্তর্গত শ্রীপুর দ্বিতীয় লেনের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সোমা দাস নামে এক মহিলার। সেই থেকে গড়ফা থানার অন্তর্গত শ্রীপুর দ্বিতীয় লেনের ওই বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভাড়া থাকতেন বছর পঁয়ত্রিশের সোমা দাস।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারপর থেকেই বাড়িতে মধুচক্রের আসর ফেঁদে বসে বিবাহ বিচ্ছিন্না ওই মহিলা। দেহ ব্যবসার রমরমা কারবার চলতে থাকে। প্রতি রাতে বিভিন্ন বয়সের নিত্যনতুন পুরুষের আনাগোনা। হই হুল্লোড়, মদ্যপান। মত্ত যুবকদের চেঁচামেঁচিতে তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠে গৃহকর্তা থেকে প্রতিবেশীরা।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই মহিলার সঙ্গে বাড়িতে ঢোকে চার যুবক। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয়ে যায় চিত্‍কার-চেঁচামেচি। শেষমেশ আর থাকতে না পেরে গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৃহকর্তা শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায় পুলিস।

কিন্তু অভিযুক্তদের কাউকেই আর ধরতে পারেনি পুলিস। পুলিস আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় সকলে।