বিনা চিকিত্সায় শয্যাশায়ী বাংলাদেশী ক্রিকেটার চামেলিকে আনা হল ভারতে


চিকিত্সার জন্য প্রয়োজন ছিল অন্তত দশ লক্ষ টাকা। পরিবারের লোকজন সেটা কিছুতেই জোগাড় করতে পারছিল না। শেষমেশ বিনা চিকিতসায় বিছানায় পড়ে ছিলেন চামেলি খাতুন। কে এই চামেলি খাতুন? একসময় দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের হয়েও। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের পতাকা উঁচুতে তুলে ধরা অ্যাথলিট দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসড হয়ে বিছানায়। চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর সঠিক চিকিত্সার অভাবে চামেলি খাতুনের মেরুদণ্ড ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। যার ফলে উঠে দাঁড়ানোর শক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা প্রচণ্ড। এমন ক্রিকেটপাগল দেশে একজন ক্রিকেটার বিনা চিকিত্সায় ভুগবেন, তা হয় নাকি! শেষমেশ চামেলিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তাঁরই উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় চামেলিকে চিকিত্সার জন্য ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে চামেলি খাতুনকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা থেকে কলকাতায় আনা হয়েছে এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে পরিবারের দুজন এসেছেন কলকাতায়। ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণী হাসপাতালে চামেলীর চিকিৎসা চলবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবেন।

কিছুদিন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন চামেলি। কিন্তু চিকিত্সকরা আগেই জানিয়েছিলেন, চামেলিকে চিকিতসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। গত ২ নভেম্বর রাজশাহী থেকে ঢাকায় চিকিতসার জন্য আনা হয়েছিল চামেলিকে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত খেলেছেন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন চামেলি খাতুন। আট বছর আগে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকে জীবন পাল্টে যায় তাঁর। শুরু হয় কঠিন লড়াই।