দিদির সামনেই দড়িতে ঝুলে পড়লেন সোনাজয়ী অ্যাথলিট ভাই! হাসপাতালে মৃত্যু

এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী অ্যাথলিট পলেন্দ্র চৌধরি। 

বাবার সঙ্গে মোবাইলে কথা কাটাকাটি। মিটমাট করতে স্টেডিয়ামে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি হস্টেলে এলেন দিদি। তার সামনেই ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়লেন সোনাজয়ী অ্যাথলিট ভাই। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি বছর আঠেরোর পলেন্দ্র চৌধরিকে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মধ্যে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই)। পাশাপাশি ওই অ্যাথলিটের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে সাই।
জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের এক কর্মী জানান, ''মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আচমকাই ওই মহিলার চিৎকার শুনে সবাই ছুটে যাই। দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে পলেন্দ্র। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে সফদর জংহাসপাতালে পাঠাই আমরা।'' হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।

কিন্তু সাই পরিচালিত স্পোর্টস অ্যাকাডেমির ঘরে আত্মহত্যার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে। সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল নীলম কপূর বলেন, ''সাই পরিচালিত এলাকার মধ্যে ঘটনা ঘটেছে বলে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সাইয়ের সচিব স্বর্ন সিংহ ছাবরার নেতৃত্বে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, টাকাপয়সা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কিছু সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন পলেন্দ্র। বুধবার সকালেই খবর পান পরিবারের লোকজন। পলেন্দ্র বাবা বলেন, ''ওর কিছু টাকার দরকার ছিল বলে ফোনে জানিয়েছিল। আমি টাকা দিয়ে দেব বলেও জানিয়েছিলাম। তার পরও কী যে হল, বুঝতে পারছি না।''তবে সাইয়ে পলেন্দ্রর সহ খেলোয়াড় বা কোচ কারও বিরুদ্ধেই কোনও অভিযোগ নেই তাঁর।

সাই ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ''অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা পরিবারকে সব রকম সাহায্যের চেষ্টা করব। হাসপাতালে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া তদারকি থেকে বাডি়তে দেহ পৌঁছে দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াই করবে সাই।'' অন্য দিকে ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি শোক প্রকাশ করেছেন এবং পলেন্দ্রর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

পলেন্দ্রর বাড়ি আলিগড়ে। ২০১৬ সাল থেকে সাইয়ের অধীনে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের হস্টেলেই থাকতেন। সেখানেই ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার দৌড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০১৭ সালে ব্যাঙ্ককে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪X১০০ মিটার রিলে রেসে অংশ নিয়ে সোনা জিতেছিলেন পলেন্দ্র। এ বছরের জুলাইয়ে ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশ নিয়েছিলেন।