শেয়াল মেরে ‘বীরত্ব’ ফেসবুকে, শ্রীঘরে ঠাঁই বাংলার যুবকের

দু'টি শিয়ালকে নির্মম ভাবে হত্যা করে যেতে হল শ্রীঘরে।

শিক্ষকের নির্দেশে দু-দু'টি শেয়ালকে পিটিয়ে হত্যা। তার পর মৃত শেয়ালের দেহ গাছে ঝুলিয়ে চামড়া ও মাংস কেটে নেওয়া। শুধু তাই নয়, নিজের ক্ষমতা জাহির করতে মৃত শেয়ালের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা। এমন কাণ্ড ঘটানোয় গ্রেফতার হতে হলো ঘাতক যুবককে। ধৃত যুবকের নাম ভিকি সরকার। তপন থানার ভাদ্রাইল এলাকায় বাড়ি তার। 

বন দফতর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। ফেসবুকে দেওয়া মৃত দু'টি শেয়ালের পোস্টটি নজরে আসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধির। তিনি সরাসরি এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন বন দফতরকে। এর পরেই বন দফতর ও পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ভাদ্রাইল এলাকা থেকে মৃত শেয়ালের চামড়া ও হাড় উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে বন্যপ্রাণ আইনে ভিকির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ঘটনায় স্থানীয় হাইমাদ্রাসার এক শিক্ষক-সহ আরও কয়েকজন জড়িত বলেও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। 

ভাদ্রাইল এলাকায় অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশপাশের জঙ্গল থেকে শেয়াল এসে মাঝেমধ্যে খাবার খেয়ে যায়। ভিকি দু'টি শেয়ালকে মেরে তাদের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল গত মঙ্গলবার। সেখানে নিজেই সে জানায়, ওই শেয়াল দু'টিকে সে-ই মেরেছে।
রায়গঞ্জ ডিভিশনের ডিএফও দিপর্ন দত্ত জানিয়েছেন যে, গত ২১ ডিসেম্বর তাঁরা জানতে পারেন তপনের ভাদ্রাইলে দুইটি শেয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মারার পর মৃত শেয়াল দু'টিকে গাছে টাঙিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলি কেটে ফেলা হয়। খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে মৃত শেয়ালের মাথার খুলি ও চামড়া উদ্ধার করা হয়। এর পরেই ভিকি সরকারের নামে তপন থানায় এফআইআর করা হলে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।