পঞ্জাবে নিষিদ্ধ হচ্ছে হুক্কা বার


নয়াদিল্লি: গুজরাত, মহারাষ্ট্রের পর দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে পঞ্জাবে নিষিদ্ধ হল হুক্কা বার৷ ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, পঞ্জাবে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ নিয়ন্ত্রণ বিলে সাক্ষর করে সম্মতি জানিয়েছেন৷ হুক্কা বারের মাধ্যেমে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে নেশার প্রবণতা বাড়ছে৷ শরীরে প্রবেশ করছে মারাত্মক বিশ৷ তা বন্ধ করতেই পঞ্জাব সরকারের বার বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে৷

নবপ্রজন্মের কাছে বর্তমানে খুব পছন্দের এই হুক্কা বার৷ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের কাছে বিনোদনের নয়া ঠিকানা এই বার৷ কিন্তু বিনোদনের আড়ালেই শরীরে মেশে বিশ৷ নিকোটিনের প্রবাবে শরীরে বাঁসা বাঁধে মারাত্মক সব রোগ৷ সমাজে যার উদাহরণ ভুরিভুরি৷ পঞ্জাবের যুব সম্প্রদায়কে এর থেকে রক্ষার জন্য তাই আইন করে বন্ধ করা হল হুক্কা বার৷

রাজ্যে একটি সমীক্ষায় উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য৷ দেখা যাতচ্ছে একশো জনের মধ্যে ৮০ জনই মারাত্মক এই নেশায় আশক্ত৷ তাদের কাছে বিনোদন মানেই হুক্কার টান৷ জানা গিয়েছে, এক ঘন্টায় প্রায় ২০০ বার হুক্কায় টান দেওয়া যায়৷ যার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ৫০ লিটার বিষাক্ত ধোঁয়া৷

শুধু বিনোদনই নয়, হুক্কা বারগুলি হয়ে উঠছিল ভয়ঙ্কর সব ড্রাগ ব্যবসার আঁতুর ঘর৷ সম্প্রতি রাজ্যের তিনটি বার থেকে মিলেছে বেআইনী ড্রাগ বিক্রির হদিশ৷ অভিযুক্তদের জেরা করে মেলে হুক্কা বারের আড়ালে গড়ে ওঠা বেআইনী কারবারের খোঁজ৷

পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিশা নেওয়ার হাত থেকে যুবসম্প্রদাকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ৷ প্রশাসন কড়া হাতে নতুন বিল প্রয়োগ করবে৷