দুধের শিশুকে ধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে লাঠি, নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া গুরুগ্রামে


ফের নির্ভয়া কাণ্ড! এবার অবশ্য ঘটনাস্থল দিল্লি নয়। তবে দিল্লির কাছাকাছি গুরুগ্রামে ধর্ষিত হয়েছে একটি তিন বছরের শিশুকন্যা। তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি লাঠি বের করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে সেক্টর ৬৬-র গুগা কলোনিতে। সেখানে একটি বন্ধ ঘর থেকে তার মৃতদেহ আবিষ্কার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটি রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ তার বাড়ির সামনে দুই সঙ্গীর সঙ্গে খেলছিল। সেখান থেকে ওই মেয়েটিকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সোমবার সকালে তার দেহ মন্দিরের কাছে একটি দোকানের ভিতরে দেখতে পান স্থানীয়রা। তার দেহ ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। মাথায় জড়ানো ছিল পলিথিনের ব্যাগ। এখান থেকেই স্পষ্ট, মৃত্যুর আগে ওই মেয়েটিকে মৃত্যুর আগে অত্যাচার করা হয়েছিল আর ধর্ষণ করা হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুনীল কুমার। তার বয়স ২০ বছর। পেশায় শ্রমিক। উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার নওগাঁয়ের বাসিন্দা। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, তার কাছাকাছি সে তার মা ও দুই বোনের সঙ্গে থাকত। দু'দিন আগে সে মায়ে সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সুনীল। অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সামশের সিং জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না সুনীলের। তার পরিবারের সদস্যদের এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এর জন্য থানার তরফ থেকে দুটি ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ থেকে দুটি টিম তৈরি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দীপক মাথুর জানিয়েছেন, তিন বছরের ওই শিশুকন্যার গোপনাঙ্গ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাত লাগার ফলে। কোনও ভারী জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এছাড়া নির্যাতিতার কাঁধ, কোমর, বুক ও পিঠে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দেহের অদূরেই মিলেছে মেয়েটির জামাকাপড়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬ ও ৩০২ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।