বিয়ের আগেই উধাও বর! পাত্রীর মান বাঁচাতে হঠাৎ ‘বন্ধু’র আবির্ভাবে চারহাত হল এক


বিয়ের সব আয়োজন পরিপাটি করে সাজানো। মেদিনীপুর শহরের লজে বসেছে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আসর। প্রস্তুত ছাদনাতলাও। কনেও অপেক্ষা করে রয়েছে। লগ্ন যে বয়ে যেতে বসেছে। পাত্তা নেই বরের। এবার শুরু হল বরের খোঁজ। কোথায় তিনি! আসলে বর বাবাজি তো আগেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। তাঁর দেখা পাওয়াই ভার।

কিন্তু কী এমন হল বরের! ছ-মাস আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতার। একে-অপরকে পছন্দ করেই এই বিয়ে, তাহলে কোথায় গেলেন বর। দেখা তাঁর মিলল না। হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছে বিয়ে বাড়িতে। মান-সম্মান যায়। আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন, রয়েছেন আমন্ত্রিতরা। কী করে বাঁচবে মান।

তখনই উদয় হল এক যুবকের। তিনি সম্মতি দিলেন বিয়েতে। অবশেষে সম্মান বাঁচল পাত্রীর। সম্মান বাঁচল পাত্রীর বাড়ির। পাত্রীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড। মেদিনীপুর শহররে কোতোয়ালি বাজারে থানার পাশেই তাঁর বাড়ি। ছ-মাস আগে অশোকনগরে এক যুবক সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল তাঁর মেয়ের। এদিন আয়োজন হয়েছিল আনুষ্ঠানিক বিয়ের। কিন্তু সেখানেই নিখোঁজ বর।

সঞ্জয় রায় থাকত অশোক নগরের এক ভাড়া বাড়িতে। এজেন্টের কাজ করত। সেই পাত্র উধাও হয়ে যাওয়ায় কান্নাকাটি শুরু হয়ে য়ায়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিয়ের মণ্ডপে। তখনই মেদিনীপুরের কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক যুবক বিয়ে করতে এগিয়ে আসেন। চার হাত এক হয়ে যায়। সব সমস্যার সমাধান এক লহমায়।