মুক্তি পেল দারিভিটে কাণ্ডে গ্রেফতার আট


রায়গঞ্জ: দারিভিটে স্কুলের ঘটনাটি বহুবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে৷ প্রায় ৫৫ দিন স্কুল বন্ধও ছিল৷ এই ঘটনায় আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তাদের জামিনের দাবিতে অনড় ছিল গ্রামবাসী৷ অবশেষে তাদের জামিনের রায় দেন অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা আদালতের বিচারক কামালউদ্দিন৷

সরকারি আইনজীবী মুক্তার আহমেদ জানান, এদিন প্রকাশ মজুমদার, তাপস মজুমদার, নির্মল শিকারি, পবন রায়, বিশ্বনাথ বিশ্বাস, বঙ্কিম মজুমদার ও অরুনলাল সিংহ ও নিখিল শিকদারের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।

তবে জামিন পাওয়া ব্যক্তিদের রেজিস্টার সিকিউরিটি বাবদ পাঁচ হাজার টাকা ও পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের জমির দলিলের কাগজ জমা দিতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে সপ্তাহে একদিন হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এদিন এই জামিনের ঘটনায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ধৃতদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যালয় খোলার পর বিদ্যালয় ময়দানের পাশে থাকা ধর্না মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৩ নভেম্বর যদি ধৃতদের মুক্তি না দেওয়া হয় তবে ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল।

বিদ্যালয়ের গেটে এবং রাস্তায় বসে প্ৰয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা। অবশেষে আটজনের মুক্তি পাওয়ায় সেই আন্দোলন থেকে সরে গেলেন তারা৷ কিন্তু তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে ওই মঞ্চে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্না চলবে বলে জানিয়েছেন৷

এদিকে ধৃতদের মুক্তির ঘটনায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়া এবং শিক্ষকরাও। দারিভিট হাই স্কুলে ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। একই সঙ্গে চলবে রেজিস্ট্রেশন এবং বিগত বছরের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপ।

এর আগে যদি ধৃতরা মুক্তি না পায় তবে ফের পঠনপাঠন ও পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় চরম উদ্বেগে ছিলেন তারা। অবশেষে আদালতের রায় তাদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।