কিশোরীকে অপহরণ করে রাতভর ধর্ষণ


এক আদিবাসী কিশোরীকে বাড়ির কাছ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোল থানা এলাকায়। বর্তমানে ওই কিশোরী মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় গাজোল থানায় মৌখিক অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

বছর দশেক আগে ওই কিশোরীর মা তাঁর তিন মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়িতে চলে আসেন। টানাটানির সংসারে টাকা রোজগারের জন্য তিনি এলাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। সোমবার রাতে তাঁর বছর চোদ্দোর মেয়ে বাড়ি লাগোয়া নলকূপ থেকে জল আনতে যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ বাড়ি না ফেরায় তিনি খোঁজ শুরু করেন। গ্রামবাসীদেরও বিষয়টি জানান। মঙ্গলবার স্থানীয়রা দাবি করেন, ওই কিশোরীকে তারা মহিলার শ্বশুরবাড়ির এলাকার এক যুবকের সঙ্গে দেখেছে। তা জানতে পেরে গ্রামবাসীরাই ওই যুবককে আটক করেন। যুবককে চাপ দিলে সে অপহরণের কথা স্বীকার করে নেয়।

এরপরেই ওই কিশোরীকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিশোরীর মা বাড়িতে ফিরে দেখেন, মেয়ের গোপনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক হারে রক্তপাত হচ্ছে। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে কিশোরী জানায়, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনায় ক'‌জন জড়িত ছিল সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি আতঙ্কিত কিশোরী। তাঁকে স্থানীয় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখান থেকে তাঁকে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গাজোল থানায় বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। কিশোরীর সঙ্গে বুধবার কথা বলবে পুলিস।