জার্মানিতে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টকের ভল্ট ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে নিলেন দীপা


কোটবাস: অলিম্পিক পরবর্তী সময়ে হাঁটুর চোটের কারণে একবছর কোনওরকম প্রতিযোগীতামূলক টুর্নামেন্টে নামতে পারেননি তিনি। চোট সারিয়ে ফিরে এসেই তুরস্কে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপে গলায় ঝুলিয়েছিলেন স্বর্ণ পদক। স্বভাবতই এশিয়ান গেমসে দীপা কর্মকারকে ঘিরে বেড়ে গিয়েছিল পদক জয়ের প্রত্যাশা। কিন্তু ফের হাঁটুর চোটে কাবু দীপা নামতেই পারেননি এশিয়াডের ভল্ট ইভেন্টের ফাইনালে। নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন দলগত বিভাগ থেকেও।

হাঁটুর চোট সারিয়ে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে পদক আনাই পরবর্তী লক্ষ্য ছিল দীপার। সেই লক্ষ্যে সফল হলেন ত্রিপুরার মেয়ে। শনিবার জার্মানির কোটবাসে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টকের ভল্ট ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে নিলেন দীপা। সেইসঙ্গে উজ্জ্বল হল তাঁর অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা। ১৪.৩১৬ স্কোর করে এদিন ব্রোঞ্জ পদক গলায় ঝোলান এই তারকা জিমন্যাস্ট। ব্রাজিলের রেবেকা অ্যান্দ্রেদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জেড ক্যারে সোনা ও রুপোর পদক গলায় ঝুলিয়েছেন যথাক্রমে ১৪.৭২৮ এবং ১৪.৫১৬ স্কোর করে।

২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ৮ ইভেন্ট কোয়ালিফায়িং সিস্টেমেও অংশগ্রহণকারী হিসেবে নাম রয়েছে দীপার। সেই লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম টুর্নামেন্টে ভালই ফল করেছিলেন বছর পঁচিশের এই জিমন্যাস্ট। পরবর্তীতে দোহা এবং বাকুতেও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। কিন্তু জার্মানির এই টুর্নামেন্টটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন। ওয়ার্ল্ড কাপের মত টুর্নামেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জয় করায় দীপা ও তাঁর কোচ বীরেশ্বর দত্তকে অভিনন্দন জানিয়েছে জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। দীপার এই সাফল্য তাঁর অলিম্পিকের প্রবেশের রাস্তা যে অনেকটা সুগম করে দিল, তাও জানিয়েছে ফেডারেশন।

ব্রোঞ্জ জিতে দেশকে গর্বিত করার পর দীপা জানান, 'পৃথিবীর প্রথম সারির অ্যাথলিটদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারাটা একটা দারুণ অনুভূতি। আজ এই ব্রোঞ্জ পদকও সোনা মনে হচ্ছে।' এরপর টুইটারে দীপা তাঁর এই সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ জানান কোচ, ফেডারেশন এবং তাঁর সকল অনুরাগীদের।