মুসৌরিতে মুছে গেল বিজেপি, উত্তরাখণ্ড জুড়েই পুরভোটে বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরের


উত্তরাখণ্ডের পুরভোটে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিল কংগ্রেস।

মাত্র এক বছর আগেই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সে ছবিকি বদলাতে শুরু করল? বুধবার পুরভোটের ফলাফলের দিকে নজর ঘোরালে তেমনটাই মনে হচ্ছে। বছরখানেক আগে এ রাজ্যে ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। তবে এ দিন রাজ্যের যে ৮৪টি পুরসভা নির্বাচনের ফল জানা গিয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৩৪টি পুরসভা দখল করতে পেরেছে বিজেপি। বাকি ৫০টি পুরসভার দখল নিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থীরা।
উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে একেবারে ধুয়েমুছে গিয়েছে বিজেপি। নির্দল প্রার্থীদের পাশাপাশি মুসৌরির দখল নিয়েছে কংগ্রেস। মুসৌরি হারের দিনেই বিজেপি বিধায়ককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দেহরাদূনের একটি গণনাকেন্দ্রে বিতর্কিত বিজেপি বিধায়কগণেশ যোশী জোর করে ঢুকতে গেলে বাধা দেন তাঁরা। এমনকি,গণেশ জোশীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় কংগ্রেস কর্মীদের।

উত্তরকাশী জেলাতেও ভোটের ফলাফলে একই ছবি দেখা গিয়েছে। মোট ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ড জিতেছেন নির্দলেরা। চিন্যালিসৌড়ের চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। দেহরাদূন পুরসভার ৩৪টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সেখানে কংগ্রেস জিতেছে ১৫টি আসন। অন্য দিকে বিজেপি পেয়েছে ১৪টি ওয়ার্ড। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টি আসন।

উত্তরাখণ্ডের শহুরে এলাকাতেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। চম্পাবতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরসভার চেয়ারম্যান হবেন কংগ্রেস প্রার্থী। সেখানে কংগ্রেসের বিজয় বর্মা পেয়েছেন ১,৩১৫টি ভোট। নির্দল প্রার্থী প্রকাশ পাণ্ডেকে ভোট দিয়েছেন ৯১৪ জন। কিন্তু ৯০৪টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী।

রবিবার রাজ্যের ৮৪টি পুরসভা-সহ সাতটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, ৩৯টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল এবং ৩৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য ভোট হয়। তাতে রেকর্ড সংখ্যক ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মঙ্গলবার গণনা শুরু হয়। পুরভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল কার্যত জোর ধাক্কা খেয়েছে।