ঝামেলা মেটাতে আসরে মোদী, বৈঠক আরবিআই গভর্নরের সঙ্গে


উর্জিত পটেলের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর মধ্যে সঙ্ঘাত অব্যাহত। তাই মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যত শীঘ্র সম্ভব ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়া যায় যাতে, সে জন্য গত শুক্রবার আরবিআই গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিল্লিতে ছিলেন আরবিআই গভর্নর উর্জিত পটেল। ওই দিন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান তিনি। সেই সঙ্গে সরকারের বেশ কিছু দাবি নিয়েও পর্যালোচনা হয়। সরকারি দাবি দাওয়া খতিয়ে দেখতে ১৯ নভেম্বর বৈঠকে বসছে আরবিআইয়ের পরিচালন কর্তারা। সেখানে সবকিছু পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তার পর গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে পারে। 

আর্থিক নীতি, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সঞ্চয় এবং ঋণনীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে মতবিরোধ চলছে মোদী সরকারের। সম্প্রতি আবার আরবিআই আইনের ৭ নং ধারা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়। ওই ধারা প্রযোগ হলে সরকারের ক্ষমতা আরও বাড়বে। জনস্বার্থের দোহাই দিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রধানকে নিজেদের সুবিধা মতো শলারামর্শ, এমনকি নির্দেশও দিতে পারবে তারা।

এই জল্পনার জেরে দু'পক্ষের মধ্যে তিক্ততা চরমে ওঠে।মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উর্জিত প্যাটেল আরবিআইয়ের গভর্নর পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়। রঘুরাম রাজনের জায়গায় যাঁকে বসাতে সুপারিশ করেছিলেন খোদ মোদী।

ভোটের আগে এমন ঘটনায় আসরে নেমে পড়ে বিরোধী দলগুলি। বিশেষ করে কংগ্রেস। তাদের প্রবীণ নেতা ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম অভিযোগ তোলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত সঞ্চয়ে ভাগ বসাতে চেয়েছিল কেন্দ্র। তাতে রাজি হননি উর্জিত পটেল। তা নিয়েই ঝামেলা। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বিধি বদল নিয়ে উঠেপড়ে লাগা নিয়েও মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।