হেনস্থা, অভিমানে আত্মঘাতী ট্রেনচালক


মেদিনীপুর: ছুটি মেলেনি। অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন আধিকারিকদের অনুমতি না নিয়েই। ফিরে এসে কাজে যোগ দিতে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হলেন। সেই অভিমানে আত্মঘাতী হলেন ট্রেনচালক গুড্ডুকুমার কেশরী (৩৩)। শনিবার সকালে খড়্গপুরের কৌশল্যার ট্রেনচালকদের মেস থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্যান্টের বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিলেন তিনি। 
ট্রেনচালক আত্মঘাতী হওয়ার খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর সহকর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গুড্ডুকুমার ছিলেন ইএমইউ লোকাল ট্রেনের চালক। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার পদ্মা গ্রামে। বুধবার রাতে খবর আসে স্ত্রী খুব অসুস্থ। রেল আধিকারিকদের অনুরোধ করেন তাঁকে যেন দু'‌দিন ছুটি দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন দীপাবলির আগে ছুটি পাওয়া যাবে না। এই কথা শোনার পরও তিনি একাধিকবার অনুরোধ করেন ছুটির জন্য। তাতেও কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাড়ি চলে যান। অসুস্থ স্ত্রীকে দেখে শুক্রবার বিকেলে ফিরে আসেন। অভিযোগ, ফিরে এসে রেল আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করলে তাঁকে গালিগালাজ করেন। চাকরি থেকে ছাঁটাই করার হুমকিও দেন। তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। রাতে মেসে ফিরে আসেন। এই ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সকালে দেখা যায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 
সকাল থেকে দফায় দফায় ট্রেনচালকেরা রেল আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালান। স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ চলে। আরপিএফ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে এলে আরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গেও চালকদের ধস্তাধস্তি হয়। দক্ষিণ–পূর্ব রেলের সিনিয়র রেল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তেওয়ারি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।‌