নমাজ নিষিদ্ধ হল তাজমহলে


আগ্রা: নমাজের উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা৷ তাজমহলের ভিতরে থাকা মসজিদে নিষিদ্ধ হয়ে গেল নমাজ৷ সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে তারা জানিয়েছে, শুধুমাত্র শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে না৷ সেদিন ওই মসজিদে নমাজে কোনও বাধা থাকছে না মুসলিম ধর্মাবিলম্বীদের জন্য৷

স্বাভাবিকভাবেই কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ কারণ, তাজমহল নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিতর্কের ঝড় উঠতে পারে৷ কাটাছেঁড়া করা হতে পারে কেন্দ্রীয় এই সংস্থাকে নিয়ে৷

এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্য অবগত এএসআই-এর আধিকারিকরা৷ তাঁদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত তাঁদের নয়৷ বরং তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করলেন৷ গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল৷

সেখানে বলা হয়েছিল, আগ্রায় বসবাসকারীরা শুক্রবার যাতে নমাজ পড়তে না পারে, সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে৷ তাজমহলের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল৷

যদিও এখন শুধুমাত্র শুক্রবারই নমাজ পড়া হয় তাজমহলে৷ সেদিন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে তাজমহল৷ তাই সেদিন এলাকার মানুষ গিয়ে ওই মসজিদে নমাজ পড়েন৷ বাকি দিনগুলিতে সাধারণ দর্শনার্থীদের কেউ চাইলে মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়তে পারতেন৷ সেই ব্যবস্থাই রবিবার বন্ধ করে দিয়েছে এএসআই৷

নমাজের আগে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যে জায়গায় গিয়ে নিজেদের পরিষ্কার করেন, সেই ভাজু ট্যাঙ্ক রবিবার তালাবন্ধ করে দেন কেন্দ্রীয় এই সংস্থার আধিকারিকরা৷ রবিবার অনেক দর্শনার্থীকে এ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়৷ অনেকে আবার মসজিদের বাইরেই নমাজ সেরে নেন৷

ওই সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাজমহলের ওই মসজিদের ইমাম সাদিক আলি ও অন্য কর্মীদেরও শুক্রবার ছাড়া অন্যদিন নমাজে নিষেধ করা হয়েছে৷ মসজিদের ইমাম ও তাঁর পরিবার কয়েক দশক ধরে সেখানে নমাজ পড়াচ্ছেন৷ এর জন্য তাঁরা মাসে মাত্র ১৫ টাকা করে নেন৷ সাদিক আলি এএসআই-এর এই সিদ্ধান্তে অবাক৷

তাজমহলের ইন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সৈয়দ ইব্রাহিম হুসেন জাইদি এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশের সরকার মুসলিম বিরোধী৷ তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বছরের পর বছর ধরে চলা নমাজের এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি৷