চাকরির লোভ দেখিয়ে আরবে পাচার হায়দরাবাদের মহিলা


হায়দরাবাদ: বিদেশে গেলে মিলবে সুখের চাকরি। রোজগার হবে অনেক। সুখের হাওয়া বইবে বাড়িতে। এই লোভেই মেয়েকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাই যে এত প্রতিকূলতার সৃষ্টি করবে তা কল্পনা করতে পারেননি জননী হাবিব উন্নিসা।

দুই দালালের মাধ্যমে মেয়ে হালিম উন্নিসাকে সৌরি আরবে পাঠিয়েছিলেন হাবিব। কথা হয়েছিল ওই দেশের রাজধানী শহর রিয়াধে এক বিউটিপার্লারে কাজ করবেন হালিম। বছরের নিদৃষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরবে।

কিন্তু সব প্রতিশ্রুতিই ছিল আসলে ভাওতা। তা এখন বুঝতে পারছেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা হাবিব উন্নিসা। তিনি বলেছেন, "২০১৭ সালের মার্চ মাসে আমার মেয়েকে রিয়াধে পাঠিয়েছিলাম। দুই জন দালাল বলেছিল ওখানে আমার মেয়েকে বিউটি পার্লারে কাজ দেবে।" এরপর কান্না জ্বড়ানো স্বরে বললেন, "এখন জানি না মেয়ে কবে ফিরবে। ওখানে খুব অত্যাচার হচ্ছে আমার মেয়ের উপরে।"

সমগ্র বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছে হালিমের পরিবার। মা হাবিব উন্নিসা বলেছেন, "পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কোনও কাজ এখনও হয়নি। সরকারের কাছে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।"

হালিমের ভাই মহম্মদ আসিফ খান জানিয়েছেন যে মাসে ২৫ হাজার টাকা মাইনেতে বিউটি পার্লারে চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দালালেরা। কিন্তু রিয়াধে হালিমকে একটি বাড়ির পরিচারিকার কাজ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পরেই ওই দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হালিমের পরিবার। সাফ জানানো হয় অবিলম্বে তাঁদের মেয়েকে দেশে ফেরানো হোক। কিন্তু কোনও উত্তর করেনি অভিযুক্তেরা।

দিদি হালিমকে ফেরাতে রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাসেও যোগাযোগ করেছিল মহম্মদ আসিফ খান। বিশেষ কোনও কাজ হয়নি। এই মুহূর্তে মেয়েকে ফেরাতে বিদেশমন্ত্রীই ভরসা ওই পরিবারের।