তিন বছরের শিশুর মুখে চকলেট বোমা ঢুকিয়ে আগুন! ছিন্নভিন্ন শরীরে ৫০ সেলাই


চকলেট বোমায় আগুন দিতে গিয়ে হাতে ফেটে যাওয়া, তুবড়ি ফেটে পুড়ে যাওয়া, রকেট উড়ে গিয়ে বাড়িতে পড়ে আগুন লাগা, কিংবা রংমশাল ফেটে হাত পুড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা দেওয়ালির সময় আকছার ঘটে। এমনকি, প্রাণহানির ঘটনাও শিরোনামে উঠে আসে। সেসব নিতান্তই দুর্ঘটনা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মেরঠে যা ঘটল, তা মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হয়। তিন বছরের শিশুর মুখে বাজি ঢুকিয়ে আগুন দিয়ে দিল এক কিশোর। মুখের মধ্যেই ফেটে গিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই শিশু।

বুধবার ছিল দেওয়ালি। কিন্তু মেরঠের শহর-গ্রামে-গঞ্জে মঙ্গলবার থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে বাজি পোড়ানোও চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশেই অন্য খুদে বন্ধুদের সঙ্গে মনের আনন্দে খেলছিল শিশুটি। সেখানে তখন এলাকারই কিশোর হরপাল কয়েকটি বাজি নিয়ে আসে। ওই শিশুর মুখে একটি চকলেট বোমা ঢুকিয়ে সলতেয় আগুন ধরিয়ে দেয়। শিশুটির মুখের মধ্যেই ফেটে যায় চকলেট বোমাটি। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় ওই কিশোর।

পাড়া প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। বাজি ফাটার অভিঘাতে শিশুটির মুখ কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। মুখে দিতে হয়েছে ৫০টি সেলাই। শ্বাসনালী-সহ অন্যান্য জায়গাতেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ওই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, শিশুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

আহত শিশুর বাবা শশী কুমার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ে যখন অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল, তখন হরপালকে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। হরপালই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেহাতই খেলার ছলে ঘটনা ঘটেছে, নাকি কোনও অভিসন্ধিতে পূর্ব পরিকল্পনা মতোই ওই কিশোর মুখে চকলেট বোমা ঢুকিয়ে দিয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।