৮২৭ সাইট বন্ধের ফতোয়া কেন! ক্ষুব্ধ পর্নপ্রেমীরা...


উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইতমধ্যে ৮২৭টি পর্ন সাইটের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই মোবাইল কানেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারগুলিও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। অন্যতম বড় প্রোভাইডার জিও, ভোডাফোন, এয়ারটেল কানেকশন থেকে গত পাঁচদিন হল পর্নোগ্রাফি সাইটগুলি আর খোলা যাচ্ছে না। ঘটনা হল, এই প্রেক্ষিতে বিতর্ক ফের দানা বেঁধেছে দেশজুড়ে। একইসঙ্গে বেজায় চটেছেন যারা বার্ষিক ফি অর্থাৎ পেড সাবস্ক্রাইব-এর বিনিময়ে এতকাল নীল বিনদনের স্বাদ নিচ্ছিলেন, সেই পর্নপ্রেমীরা।

পর্ন সাইট দেখায় বিশ্বের প্রথম সারিতেই স্থান রয়েছে ভারতের। আমেরিকা, ব্রিটেনের ঠিক পরেই তৃতীয় স্থানে বেশ অলোকিত করে এতকাল বসে আছে ভারত। কিন্তু এপার সেই আসনও খোয়া যেতে বসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এ ভাবে পর্ন সাইট বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ ব্যক্তিগত পরিসরে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। অনেকরই আবার আশঙ্কা, এর ফলে অপরাধপ্রবণতা বাড়তে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ইতমধ্যে টুইটারে মুখ খুলেছেন অনেকেই। #pornban লিখে টুইটে বলছেন, সরকারের তরফে চাইল্ড পর্ন, রেপ পর্ন এবং BDSM এর মত পর্ন সাইট গুলি বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে স্বাগত। কিন্তু এর বাইরে যে সব পর্ন সাইট গুলি পরে সেই গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তার অর্থ ব্যক্তিগত পরিসরে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ।

ঘটনা হল, সাম্প্রতিক নানা সমীক্ষায় ভারতে পর্ন সাইটের ব্যবহার সম্পর্কে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। গত এক বছরে পর্ন সাইটগুলির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন পর্ন ওয়েবসাইট এবং ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স সংস্থার করা সমীক্ষায় ব্যবহারকারীদের সংখ্যাবৃদ্ধির কারণ হিসেবে গত দেড় বছরে ভারতে স্মার্ট মোবাইলের দাম এবং একই সঙ্গে ইন্টারনেট ডেটার খরচ কমানোকেই দেখানো হয়েছে।