বাংলাদেশ-নেপাল দিয়ে বাংলা তথা ভারতে নাশকতার ছক পাকিস্তানের


পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ও আইএসআই যৌথভাবে নেপাল ও বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারতে তথা বাংলায় আক্রমণের ছক কষেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবরই উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডুতে পাকিস্তানি দূতাবাসকে ব্যবহার করা হচ্ছে। লস্কর জঙ্গিরা শুধুমাত্র যে দূতাবাসকে ব্যবহার করছে তাই নয়, কীভাবে ভারতে আক্রমণ হবে, তার পরিকল্পনা করছে লস্কর ও আইএসআই যৌথভাবে।

পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই একটি স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থা খুলেছে। তার আড়ালে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ। সম্প্রতি পাকিস্তানি দূতাবাসে কাজ করা দুই আইএসআই কর্তা নেপালের বিরাটনগরে শিবিরে গিয়ে ঘুরে এসেছেন।

আইএসআই ও লস্কর জঙ্গিরা ভারত-নেপাল সীমান্ত রেইকি করছে। নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত উন্মুক্ত। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে জঙ্গিরা।

পাকিস্তান যে নেপালে অবস্থিত তাদের হাইকমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভারত বিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা করেছে তা ভারত জানতে পেরেছে সতর্ক করেছে। শুধু নেপাল নয়, একই কাজ করা হচ্ছে বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস থেকেও।

বাংলাদেশের অভিযোগ, কূটনীতির মোড়কে সন্ত্রাসের চালান করছে পাকিস্তান। তাদের দেশের মাটি বাংলাদেশ তথা ভারতে নাশকতা ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে। ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাসের এক আধিকারিক সম্প্রতি বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করে প্রশিক্ষণ সহ নানা কাজে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার মনে করছে, দূতাবাসকে ব্যবহার করে পাকিস্তান বাংলাদেশে সরকার-বিরোধী কার্যকলাপ করতে চাইছে।

বেশিরভাগ কূটনীতিকই আন্ডারকভার আইএসআই এজেন্ট। এছাড়া ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে জাল ভারতীয় টাকাও ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে খবর।

ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে একাদশতম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে অনেক যুবককে জঙ্গি দলে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। আর তা করছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ও তাতে মদত রয়েছে পাকিস্তানি আইএসআইয়ের।