ধনতেরস কী করবেন, কী করবেন না


 দীপাবলির শুরুতে হলুদ ও লাল রঙের বস্ত্র পরুন। যদি লাল বা হলুদ বস্ত্র না থাকে তাহলে ওই রঙের রুমাল। টিপ, ক্লিপ, কানে পাথর ব্যবহার করুন। ছেলেরাও রুমাল বা সুতো ডান হাতে জড়িয়ে রাখতে পারেন।

 ধনতেরসের দিন সোনা, রুপো, তামা বা স্টিলের কিছু কিনুন।

 ২টি নারকেল ঝাড়ু কিনে বাড়িতে একটি ব্যবহার করুন আরেকটি বাড়ির অন্য কোনও স্থানে লুকিয়ে রাখুন। পরে ব্যবহার করার জন্য।

 কুবেরের ছবি, যন্ত্র, লকেট অথবা মূর্তি ঘরে আনুন।

 এইদিন ঘর মোছার সময় জলের সঙ্গে সামান্য লবণ এবং গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।

 সন্ধেয় ধুনো জ্বালাবার সময় ধুনুচিতে টিকে অথবা ছোবড়া ধরিয়ে তার মধ্যে কর্পূর, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং ধুনো মেশান।

 দীপাবলির রাত্রে অনেকেই বাড়িতে টুনি লাইট জ্বালান। লাল, হলুদ, কমলা রঙের বাছুন।

 ঠাকুরের ভোগে খিচুড়ি রাঁধার জন্য মুগ ডালের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মটর ডাল ও ছোলার ডাল মিশিয়ে নিন।

 নাড়ু বানাবার সময় নারকেল কোরার সঙ্গে গুঁড়ো দুধ অথবা ক্ষীর মিশিয়ে নিন।

 পায়েস বানালে কিশমিশ, এলাচ দেবেন না।

 ঠাকুর মূর্তি বা যন্ত্রকে অভিষেক করার সময় কলের জল অথবা গঙ্গাজলের সঙ্গে পদ্মপাপড়ি, রক্তচন্দন, মধু এবং একটু আতর বা অগুরু মিশিয়ে নেবেন।

 ঠাকুর স্নানের জলে একটি কয়েন চুবিয়ে দেবেন। এবং ঠাকুর স্নান করানো হয়ে গেলে আসনের নিচে কয়েনটি রেখে দেবেন। পুজো শেষ হয়ে গেলে কয়েনটি আলমারি বা ক্যাশ বাক্সে রেখে দিন।

 শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য দীপাবলির দিন সদরের দু-পাশে সামান্য নুনের সঙ্গে সামান্য গুঁড়ো লংকা মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন।

 দীপাবলির রাত্রে ঘরে কর্পূর জ্বালান। কর্পূর নিভে গেলে কালো রঙের পোড়া অংশটি মেয়ে হলে কপালে ফোঁটা দিন আর ছেলে হলে বুকের ঠিক মাঝখানে দিন।

 প্রতিদিন স্নানের সময় নাভিতে হলুদের ফোঁটা দিন। ছেলে মেয়ে উভয়েই।

 ধনতেরসের দিন সম্ভব হলে লক্ষ্মীর সামনে সাদা, হলুদ, লাল অথবা কমলা রঙের আলপনা দিন। আলপনার মধ্যে সাদা চন্দনের ফোঁটা দিন।

 ঘরের চৌকাঠ নুন জল দিয়ে মুছে দু-কোণায় রক্তচন্দনের ফোঁটা দিন।