কাশ্মীরে নিরীহ নাগরিককে হত্যা করল জঙ্গিরা


জঙ্গি কার্যকলাপে ফের উত্তপ্ত উপত্যকা৷ প্রথমে সাধারণ এক নাগরিককে অপহরণ করে জঙ্গিরা৷ শুক্রবার অপহৃতের দেহ উদ্ধার করা হয়৷ এই ঘটনায় নতুন করে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার সোপিয়ানে৷  কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি৷

শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্থানীয় এক নাগরিকের দেহ উদ্ধার করা হয়৷ তাঁর দেহে মিলেছে একাধিক গুলির চিহ্ন৷ পুলিশের অনুমান, গুলি করেই খুন করা হয়েছে নিরীহ ওই নাগরিককে৷ নিহতের নাম নাদিম মনজুর৷ জানা গিয়েছে, তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের সাফারাঙ্গির বাসিন্দা৷ প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে সাফারাঙ্গির বাসিন্দা নাদিমের দেহ পুলওয়ামায় এসে পৌঁছল?

সেনা সূত্রে খবর, গত ১৫ নভেম্বর তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিজনেরা৷ ওইদিন থেকে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি৷ তাতেও পাওয়া যায়নি নাদিমকে৷ শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে পুলওয়ামায় নাদিমের দেহ উদ্ধার করা হয়৷ আগেই মৃতের পরিবারের লোকজনেরা স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন৷ এদিন সকালে দেহ উদ্ধারের পর তাঁরাই নাদিমের দেহটি শনাক্ত করেন৷ কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ৷ এই ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গিযোগ স্পষ্ট বলেই অনুমান আধিকারিকদের৷ দেহ উদ্ধারের পর বেশ কয়েকঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি৷

জঙ্গি হামলায় উপত্যকায় সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনা যদিও নতুন নয়৷ তবে সেক্ষেত্রে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে গোলাগুলির লড়াইয়ের মাঝে৷ কখনও কখনও আবার পাথর নিক্ষেপকারীদের হামলাতেও প্রাণহানি হয়েছে নিরীহ নাগরিকের৷ পুলিশ আধিকারিকদেরও বারবার টার্গেট করেছে জঙ্গিরা৷ বেশ কয়েকমাস আগে একের পর এক পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা রাতের ঘুম কেড়েছিল আধিকারিকদের৷ তবে নাদিমের মতো একজন সাধারণ নাগরিককে কেন টার্গেট করল জঙ্গিরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ প্রশাসনের উপর নিছকই চাপ বাড়াতে নাকি নাদিমকে অন্য কোনও কারণে অপহরণ করে খুন করা হল, এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে৷