কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ শুরু মিজোরাম ও মধ্য প্রদেশে


পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় আজ দুই রাজ্যে ভোটগ্রহণ। মিজোরামের ৪০টি আসন ও মধ্য প্রদেশের ২৩০টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ। কড়া নিরাপত্তায় সকাল সাতটা থেকেই মিজোরামে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগ্রহণ। নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে মধ্য প্রদেশে। গোবলয়ের এই রাজ্যে ২৩০টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ। মধ্যপ্রদেশে ২২৭ টি আসনে সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বাকি তিনটি আসনে সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। মোট ৬৫,০০০ বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২,০০০ বুথ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন তিন লক্ষ সরকারি কর্মী। ১২,০০০ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে মাইক্রো অবজারভার হিসেবে। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে মধ্য প্রদেশ ও মিজোরামে ব্যাপক পুলিসি আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন।বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় মিজোরামে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১,১৬৪টি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে ১১,০০০ নিরাপত্তারক্ষী।

২০০৩ সাল থেকে মধ্য প্রদেশের ক্ষমতায় বিজেপি। এই রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে সামনে রেখে ময়দানে নামলেও সেনাপতির নাম ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, অজিত যোগী ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দু'পক্ষকেই খুশি করতে মধ্য প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণার ঝুঁকি নেয়নি কংগ্রেস। ২৩০ আসনের মধ্য প্রদেশ বিধানসভায় ২০১৩ সালে ১৬৬টি আসন দখল করে বিজেপি। কংগ্রেস পায় ৫৮টি আসন। ৪টি আসন পায় বিএসপি। এবার নির্বাচনের মুখে বিএসপির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত তা হয়নি। ফলে একাই ময়দানে নামতে হয়েছে কংগ্রেসকেও।

ভোট নিয়ে টানটান উত্তেজনা মিজোরামেও। সেখানে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ভোটের ময়দানে রয়েছেন ২০৯ জন প্রার্থী। এবার ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যদিও আজ পর্যন্ত এই রাজ্যে কোনও আসন জিততে পারেনি তারা। বিজেপির সামনে উত্তর-পূর্বে তাদের শেষ ঠিকানা ধরে রাখার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে কংগ্রেস। ভোটগণনা ১১ ডিসেম্বর।