ইরানের তেল নিতে আপাতত বাধা নয় আমেরিকা


কোনও দেশের নাম নিলেন না। এমনকি 'দেশ' শব্দটিই এড়িয়ে গিয়ে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো বললেন, ইরান থেকে তেল কিনলেও আটটি 'শাসনক্ষেত্র' আপাতত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। এর মধ্যে ভারতও রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের দাবি।

বারাক ওবামা জমানার পরমাণু চুক্তিতে ইরানের উপর থেকে যে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলিই আগামী সোমবার (৫ নভেম্বর) থেকে কার্যকর করবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার লক্ষ্যে দেশটিকে আর্থিক ভাবে কোণঠাসা করতে চান তিনি। তাই ভারত-সহ ইরানের তেলের ক্রেতাদের উপরে চাপ বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। পম্পেয়ো আগে বলেছিলেন, 'ভারতের মতো' দেশগুলি যদি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পায়, সে ক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে তাদের। ভারত অবশ্য ইতিমধ্যেই ইরান থেকে তেল আমদানি কমানো শুরু করেছে। 

সূত্রটির বক্তব্য, ছাড় পাওয়া দেশগুলির মধ্যে ইরাক এবং দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে। তুরস্কের দাবি, এই সুবিধা পাচ্ছে তারাও। মনে করা হচ্ছে, এই তালিকায় আছে তাইওয়ানও, যাদের আমেরিকা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। সেই কারণেই 'শাসনক্ষেত্র' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ছাড় পাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ২৮টি দেশ। কারা ছাড় পাচ্ছে, সোমবারই তা জানানোর কথা আমেরিকার।

পম্পেয়ো বলেন, ''ইরানের আট তেল আমদানিকারীকে এই কারণেই ছাড় দিচ্ছি, কারণ তারা অপরিশোধিত তেল আমদানি এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রে দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়েছে। দু'টি শাসনক্ষেত্র বলেছে, তারা তেল আমদানি কিছু দিনের মধ্যেই বন্ধ করে দেবে।'' তবে আমদানি শূন্যে নামাতে কারও কারও সময় লাগলে তা দিতে রাজি আমেরিকা।