ধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন কিশোরী পরিচারিকাকে, ফাঁসির সাজা দোষীসাব্যস্ত বাড়ি মালিকের


ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকা পরিচারিকাকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর খুন করেছিলেন বাড়ির মালিক। তারপর ওই পরিচারিকার দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘৃণ্য এই অপরাধের চরম সাজা দিল তমলুক আদালত। শুক্রবার বিচারক দোষী সাব্যস্ত শ্রীমন্ত তুঙ্গ (৫০)-এর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন।

এদিন তমলুক জেলা দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের বিচারক সঞ্চিতা সরকার ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত শ্রীমন্তের ফাঁসির সাজা শোনানোর পাশাপাশি নির্দেশ দেন মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের। এই সাজা শোনার পর আনন্দে কেঁদে কেলেন মৃত নাবালিকার মা। তিনি বলেন, আদালতের এই বিচারে আমার মেয়ের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬, ২০১, ও পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা হয় শ্রীমন্ত তুঙ্গকে। তারপর এদিন সাজা ঘোষণা হল। আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট ঘটেছিল নির্মম এই ঘটনা। ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকা পরিচারিকাকে একা পেয়ে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিল শ্রীমন্ত।

শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি সে, হলদিয়া বন্দরের অস্থায়ী কর্মী শ্রীমন্ত এরপর প্রমাণ লোপাট করতে তাকে খুন করে। এবং খুনের পর বাথরুমে মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাথরুম থেকে নাবালিকার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ, গলা টিপে খুন ও কেরোসিন তেল ঢেলে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা জানা যায়।

এরপর হলদিয়া থানায় অভিযোগ জানানোর পর ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। দে়ড় বছর মামলা চলে। ২০ জনের মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। জেলা আদালতে ফাঁসির এই সাজা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও তমলুকের এক শিক্ষককে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছিলেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার।