বাতিল নয়, নির্ধারিত সময়েই হবে ভারত-জর্ডন ম্যাচ


আম্মান পৌঁছতেই কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। তাই একপ্রকার মেজাজ হারিয়েই কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, জর্ডনের বিরুদ্ধে খেলা দলের পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। যদিও ম্যাচটি বাস্তবায়িত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকে এআইএফএফ। শেষমেশ সফল তারা। জানিয়ে দেওয়া হল, শনিবার নির্ধারিত সময়েই অর্থাৎ রাত সাড়ে ১০টায় হবে ম্যাচ।

এদিন জর্ডন ফুটবল ফেডারেশন কথা বলে এআইএফএফ কর্তাদের সঙ্গে। বলা হয়, ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। যাবতীয় সব আয়োজনও রয়েছে। এই অবস্থায় ম্যাচ না হলে প্রবল সমস্যায় পড়তে হবে। তারপরই ফেডারেশন কর্তারা কথা বলেন স্টিফেনের সঙ্গে। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। বলা হয়, দুম করে ম্যাচ বাতিল হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে জর্ডন। তাছাড়া দু' দেশের ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে সম্পর্কও বেশ ভাল। তাই এই ম্যাচের জন্য যেন মাঠে নামে টিম। এর জবাবে ফেডারেশন কর্তদের প্রথমে স্টিফেন জানান, ফুটবলাররা প্রচণ্ড ক্লান্ত। ঠিকঠাক ঘুমোতে পারেননি কেউ। এই অবস্থায় খেলতে নামলে বড়সড় চোট লেগে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি তিনি কোনওভাবেই নিতে পারবেন না। কিন্তু পরে কর্তাদের বারবারের অনুরোধে রাজি হয়ে যান ব্রিটিশ কোচ।

ঠিক ছিল বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন রুট ঘুরে দু'ধাপে আম্মান পৌঁছবে ভারত। কোচ কনস্ট্যানটাইন আর কিছু ফুটবলার আম্মান পৌঁছে যান আগেই। অন্যান্য কোচিং স্টাফ এবং বাকি ফুটবলাররা পৌঁছান শুক্রবার বেশি রাতে। ম্যাচের আগে বিশ্রামের কোনও সুযোগ নেই। সেখানে ঠিকমতো প্র্যাকটিসও করতে পারেনি টিম। এমনিতেই চোটের জন্য সুনীল ছেত্রী আসেননি। তার উপর অন্য ফুটবলারদের চোট লেগে গেলে সমস্যা বাড়তে পারে।

সামনেই এএফসি এশিয়া কাপ। জর্ডনের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ দিয়েই যার প্রস্তুতি শুরু করার পরিকল্পনা ছিল মেন ইন ব্লু-র। তবে এর জন্য ফুটবলারদের চোট নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন না ভারতের কোচ। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফেও বলা হয়েছিল, শনিবারের বদলে ম্যাচ রবিবার করতে। যাতে ফুটবলাররা একটু বিশ্রাম পায়। কিন্তু জর্ডন তাতে রাজি হয়নি। জানিয়ে দেওয়া হয়, ম্যাচ একদিন পিছনো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তখনই ঠিক হয়ে যায় ম্যাচ কার্যত বাতিল। তারপরই অবশ্য জর্ডন ফুটবল কর্তারা অনুরোধ জানান ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কর্তাদের। শেষমেশ তাঁরা স্টিফেনকে রাজি করাতে সফল। আগামী মাসে ওমানের বিরুদ্ধে আরও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্লু টাইগাররা।