জিএসটির জটে বিপাকে পড়েছেন মিষ্টি বিক্রেতারা


জিএসটি–র জটিলতায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন রাজ্যের ছোট ও মাঝারি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। অনেকেই এখনও জিএসটি (‌পণ্য ও পরিষেবা কর)‌ নিয়ে বিভ্রান্ত। নিয়মকানুনের অনেক ফাঁকফোকর বুঝতে পারছেন না। যে কারণে গুনতে হচ্ছে জরিমানা। তাঁদের সচেতন করতে শনিবার আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। জিএসটি চালু হওয়ার পর তাঁদের ব্যবসায় কী প্রভাব পড়ল, তা নিয়েই মূলত পর্যালোচনা হয় এদিন। যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। অনেকেই এখনও জিএসটি নম্বর ছাড়াই ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন। এবার থেকে তাঁদের জিএসটি নম্বর নিয়ে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছে সমিতি।

উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই মিষ্টিতে জিএসটি চালু করার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সমিতি। এর প্রতিবাদে অনশন ছাড়াও রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে মিছিল–মিটিং করেছেন। গত বছর রাজ্য জুড়ে একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল সমস্ত মিষ্টির দোকান। পাশাপাশি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকেও। নোনতা ও মিষ্টির ওপর কেন্দ্রের জিএসটি চালুর প্রতিবাদে সারা রাজ্যের সঙ্গে দুর্গাপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও একদিনের প্রতীক ধর্মঘট পালন করল। মিষ্টির ওপর ৫ শতাংশ এবং নোনতা খাবারের ওপর ১২ শতাংশ জিএসটি লাগু করায় দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। বিক্রেতাদের বক্তব্য ছিল, কাঁচামাল, শাক–‌সবজির মতো মিষ্টি ও নোনতা খাবারও পচনশীল। তাই শাক–‌সবজির মতো মিষ্টি ও নোনতা খাবারকে জিএসটির আওতার বাইরে যাতে রাখা হয় সেই দাবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। জিএসটির প্রভাব তাঁদের ব্যবসায় কতটা পড়েছে, সে বিষয়টিই এদিনের আলোচনাসভায় উঠে আসে। এছাড়াও খাদ্য ও পানীয়ের বিষয়ে সুরক্ষা আইনের বিষয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সভায় উপস্থিত বিক্রেতারা। উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেন। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি রামজি চৌরাশিয়া, একে মাইতি, কেন্দ্রীয় খাদ্য গবেষণাগারের আধিকারিক ডি মিশ্র প্রমুখ।