রাজ্যের ২৮টা আসনে নজর! লোকসভায় সংখ্যালঘুদের কাছে টানতে মোক্ষম কৌশল বঙ্গ বিজেপির


বছর ঘুরলেই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা ভোটের হইচই। এখন থেকেই সেই রেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখে এগোচ্ছে বঙ্গ বিজেপিও। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা-রা আগের বারের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। চার বছরে ধারে-ভারে অনেকটা বেড়েছে বিজেপি। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বলতে গেলে এখন গেরুয়া শিবিরই। সেই জায়গা থেকেই আরও বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দিলীপ ঘোষরা।

সংখ্যালঘুরা বিবেচ্য
এই অবস্থায় বিবেচ্য হল, রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা সংখ্যালঘু। তাদের মন জুগিয়ে চলতে হলে বিজেপিকে কিছুটা নমনীয় হতে হবে। এবং লোকসভা ভোটে রাজ্যের দিকে তাকিয়ে সংখ্যালঘু প্রার্থী বেশি করে দিতে হবে। একমাত্র তাহলেই রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের সঙ্গে লড়া সম্ভব হবে।

নতুন রণকৌশল
এবছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি অপেক্ষাকৃত ভালো ফলাফল করেছে। রাজ্যে তৃণমূলের ব্যাপক জয় হলেও বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। অনেক আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। যার মধ্যে অনেক আসনে মুসলিম প্রার্থী জয়যুক্ত হয়েছে। আর এই রণকৌশলকে সামনে রেখেই সারা রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ে সংখ্যালঘুদের ওপরে জোর দিতে চাইছে দল।

মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪২টি আসনের মধ্যে ২টিতে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেয়। তারপর থেকেই গত চার বছরে এরাজ্যে বিজেপি বহরে অনেকটাই বেড়েছে। তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তাঁরাই। কংগ্রেস ও সিপিএমকে পিছনে ফেলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল।

দিলীপ উবাচ
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দল ভাবছে বেশি করে মুসলমান প্রার্থীদের টিকিট দিতে। যদিও দল ধর্ম দেখে টিকিট দেয় না। তবে ঘটনা হল, সংখ্যালঘু সমাজের বহু মানুষ বিজেপির প্রতীকে লড়তে চেয়ে আবেদন করেছেন। তাদের অনেককেই টিকিট দেওয়া হবে।

সংখ্যালঘু মোর্চার বক্তব্য
রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান আলি হোসেন দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুরেই সুর মিলিয়ে বলেছেন, বাংলায় মুসলমানরা ভোটের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। ফলে তাঁদের কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না।