ফরাক্কায় মাটি মাফিয়াদের রুখতে প্রশাসনের দ্বারস্থ পঞ্চায়েত প্রধান


ফরাক্কা : রাজ্যজুড়ে চলছে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। একদিকে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যখন বেআইনি বালি ও মাটি মাফিয়া প্রসঙ্গে প্রশাসনকে সতর্ক করছেন, অন্যদিকে তখন রাজ্যের এক প্রান্তে রমরমিয়ে চলছে সেই কার্যকলাপ। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে যে অবৈধভাবে ফিডার ক্যানেলের মাটি কাটার অভিযোগ নিয়ে ফরাক্কার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হল খোদ পঞ্চায়েত প্রধানকেই।

অভিযোগ, প্রশাসন এবিষয়ে সেভাবে কোনও তৎপরতা দেখায় না। তাই এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে ফরাক্কা ব্লক ভূমি সংস্কার ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক তরুণ কুমার দাস, BDO আবুল আলা মাবুদ আনসার ও IC উদয়শংকর ঘোষকে লিখিত অভিযোগ জমা দিলেন বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উজ্জ্বলা মণ্ডল। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই কার্যত নড়েচড়ে বসে ভূমি সংস্কার ও রাজস্ব দপ্তর। বর্তমানে বিষয়টি কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ফরাক্কার ফিডার ক্যানেলের পশ্চিমপাড়ের বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
উজ্জ্বলা মণ্ডলের অভিযোগ, কিছুদিন থেকে বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রান্তে আর্থ মুভিং মেশিন দিয়ে বিঘা বিঘা জমি নষ্ট করা হচ্ছে। তারপর মাটি কেটে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের অনুমতি না নিয়ে যেভাবে মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে বাগদাবড়া ফরেস্টের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা জন্মেছে সাধারণের মনে। তাই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে। 

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ফরাক্কা ব্লক ভূমি সংস্কার ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক তরুণ কুমার দাস বলেন, "আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাঝপথে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়।" তার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শাসক দলের আশ্রিত। আর তাই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।"