‘শুধু কাশ্মীর নয়, লালকেল্লাও দখল করব’, হুমকি পাক মন্ত্রীর


কাশ্মীর সামলানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই, শাহিদ আফ্রিদির এই বেফাঁস মন্তব্যের পরই উত্তাল পাকিস্তানের রাজনীতি। পাক শাসকদল এখন যেনতেন প্রকারেণ নিজেদের মান বাঁচাতে চাইছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতারা আফ্রিদির মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য একের পর এক বেঁফাস মন্তব্য করে চলেছেন। এবার তেমনই এক দাবি উঠে এল ইসলামিক দেশটির বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আলি মহম্মদ খানের টুইটে। পাক বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর দাবি, কাশ্মীর তো বটেই একদিন লালকেল্লাও দখল করবে ইমরানের দেশ।

কয়েকদিন আগে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি।  তিনি সেখানে সাফ জানিয়ে দেন, কাশ্মীরকে সামলানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। তবে, কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত না করে স্বশাসন দেওয়ার দাবি জানান পাক ক্রিকেটার। তিনি বলেন, "পাকিস্তান তাঁর নিজের চারটি প্রদেশকেই শান্তিতে রাখতে পারে না, কাশ্মীরের দিকে পাকিস্তানের লোভ নেই। কাশ্মীরকে স্বশাসন দেওয়া হোক, তাহলে অন্তত মানবিকতা বাঁচবে।" প্রাক্তন ক্রিকেটারের এই মন্তব্যের পরই নতুন করে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক রাজনীতি। বেশ চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ইমরান খানের চাপ আরও বাড়িয়ে আফ্রিদির বক্তব্যকে সমর্থন করেন এদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি বলেন, "আফ্রিদি ঠিকই বলেছেন, ওরা পাকিস্তানই সামলাতে পারে না, কাশ্মীর কী সামলাবে। কাশ্মীর ভারতের ছিল, ভারতের আছে আর ভারতেই থাকবে।"

ভারত অবস্থান স্পষ্ট করার পর বাক্যবাণে জর্জরিত পাকিস্তান এবার পালটা আক্রমণের পথে হাঁটল। পাক মন্ত্রীর দাবি, "কাশ্মীর পাকিস্তানেরই, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখন ক্রিকেট ম্যাচ হয় তখন গোটা কাশ্মীর পাকিস্তানের হয়েই গলা ফাটায়, পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে আমাদের দেশকেই সমর্থন করেন উপত্যকাবাসী। কাশ্মীর ছাড়া পাকিস্তান অসম্পূর্ণ।" এরপরই পাকিস্তানের মন্ত্রী দাবি করেন, "আফ্রিদির মন্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। কাশ্মীর পাকিস্তানেরই অংশ, শুধু কাশ্মীর নয়, একসময় দিল্লির লালকেল্লাও দখল করবে পাকিস্তানই।"