মোদির কল্যাণে লোকসানে চলা অনিল আম্বানির সংস্থা লাভ করল ২৮৪ কোটি টাকা


রাফাল বিমান কিনতে হলে অনিল আম্বানির সংস্থা থেকেই কিনতে হবে। ওলাঁদেকে এমনই বলেছিলেন মোদি। বিরোধীরা তাই দাবি করেছিলেন। বিরোধীদের সেই অভিযোগ তাহলে মিথ্যে ছিল না। কোটি কোটি টাকার লোকসানে চলা অনিল আম্বানির সংস্থা এতদিনে লাভের মুখ দেখল। তাও এক দু লাখ নয়। একধাক্কায় ২৮৪ কোটি টাকা লাভ করেছে অনিলের রিলায়েন্স এয়ারপোর্ট ডেভলপমেন্ট লিমিটেড। 
এতদিন নাকি রিলায়েন্সের অন্যসংস্থার ভর্তুকিতে চলছিল রিলায়েন্স এয়ারপোর্ট ডেভলপমেন্ট লিমিটেড। হঠাৎ করে কীভাবে এতটা লাভের মুখ দেখল সংস্থা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। রাফাল নিয়ে অভিযোগটা যে একেবারেই মিথ্যে নয় তা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে না কী?‌ জল্পনা উস্কে দিয়েছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। 
রিলায়েন্স অবশ্য দাবি করেছে সংস্থার ২৪, ৮৩, ৯২৩টি শোয়ার বিক্রি করেই নাকি লাভের মুখ দেখা দিয়েছে।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে লোকসানে চলা সংস্থার শেয়ার কি করে চড়া দামে বিক্রি হল এবং কেই বা কিনল তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০১৭ অর্থবর্ষের শেষে রিলায়েন্স এয়ারপোর্ট ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছিল ১০.‌৩৫ লাখ টাকা লোকসানে চলছে সংস্থা। মাত্র ছ'‌লাখ টাকা উপার্জন করেছিল সংস্থা। ২০১৬–য় উপার্জন ছিল ন'‌লাখ টাকা।  মুম্বই বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল রিলায়েন্সের এই সংস্থার। কিন্তু লোকসানে চলার কারণে মহারাষ্ট্র সরকার সেই চুক্তি বাতিল করে। তারপরে হঠাৎ করে কী করে লাভের মুখ দেখল এই সংস্থা। জানা গিয়েছে মোদির রাফাল বিমান চুক্তির পরেই ডেসল্ট ৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে আম্বানির ডুবন্ত সংস্থায়।

দেশের অন্যতম ধনী পরিবারকে আরও বেশি করে পাইয়ে দিতেই মোদির এই রাফাল চুক্তি। এই অভিযোগ তাহলে মিথ্যে নয়।‌‌