মে দিবসে ছুটির দরকার নেই সরকারি কর্মীদের: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা: সরকারি কর্মী ও অফিসাররা শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে পড়েন না৷ তাই মে দিবসে তাদের ছুটির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই৷ এমনটাই মনে করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ আর সেই ভাবনা থেকে আগামী বছর সরকারি ছুটির তালিকা থেকে মে দিবসকে বাদ রাখা হয়েছে৷

সরকারি অফিসারদের একটি অনুষ্ঠানে এসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আপনারা কি শ্রমিক? না৷ আমি কি শ্রমিক? না, আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তাহলে ওই দিন কীসের ছুটি দরকার? ওই দিন কীসের শোক পালন করবেন?'' হল ভরতি গেজেটেড ব়্যাংকের অফিসারদের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিপ্লব দেব৷ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি৷ বলেন, ''সরকারি কর্মী ও অফিসারদের মে দিবসে ছুটির কোনও প্রয়োজন নেই৷ আমি দেখেছি খুব কম রাজ্যেই ওই দিন ছুটি দেওয়া হয়৷ কিন্তু আগের বাম সরকারের আমলে ওই দিন গোটা রাজ্যই ছুটির আমেজে কাটাত৷''

তাই বলে কী মে দিবসে ছুটি মিলবে না? মুখ্যমন্ত্রীর চটজলদি উত্তর, ওই ছুটি শ্রমিকদের প্রাপ্য৷ যারা কলকারখানায় কাজ করেন তাদের এটা প্রাপ্য ছুটি৷ কারণ তারা শ্রমিক৷ কিন্তু সচিবালয়ে যারা কাজ করেন তারা তো শ্রমিক নন৷ রাজ্য সরকার ওই দিন শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত কর্মচারীদের ছুটি বাধ্যতামূলক করেছে৷ এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বিপ্লব দেব জানান, সঠিক জায়গার সঠিক মানুষকে ছুটি দিতে হবে৷ আর রাজ্য সরকার সেই কাজ করে দেখিয়েছে৷

প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে ত্রিপুরায় বাম সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে মে দিবসকে সরকারি ছুটির আওতায় আনা হয়৷ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নৃপেন চক্রবর্ত্তী৷ কিন্তু রাজ্যে পালা বদলের পর সেখানে এখন বিজেপি সরকার৷ চলতি মাসে ৩ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে মে দিবসকে সরকারি ছুটির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়৷ বদলে ১২টি ছুটির তালিকা তাদের ধরিয়ে বলা হয়, এখান থেকে যেকোনও চারটি ছুটি বেছে নিতে পারবেন তারা৷ সেই তালিকায় রয়েছে নিউ ইয়ারস ডে, পৌষ পার্বন, বাসন্তি পুজো, মহাবীর জয়ন্তী, মে দিবস, রথ যাত্রা, ঝুলনযাত্রা, বিশ্বকর্মা পুজো, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, গুরু নানকের জন্মদিন ইত্যাদি৷