চিনা লগ্নি নয় পদ্মা সেতুতে, খুশি দিল্লি


ভোটের মুখে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চিনের আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। কূটনৈতিক সূত্রের খবর— নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির চিনা ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার দৃষ্টান্ত সামনে রয়েছে। ফলে ঝুঁকি নেয়নি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সরকারের সূত্রে বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক লগ্নি নেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের নিজস্ব বাজেট থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়তে হবে না।

সরকারি ভাবে এই নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করছে না নয়াদিল্লি। বলা হচ্ছে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারত কোনও মতামত দিতে পারে না। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সাহসী সিদ্ধান্তে খুশি সাউথ ব্লক। ভারতের সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে অর্থ দিয়ে কার্যত কিনে নিচ্ছে চিন— এই অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে কূটনৈতিক অলিন্দে। বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে চিনের উপস্থিতি ভারতের থেকে বেশি ছাড়া কম নয়। সম্প্রতি এমন আশঙ্কাও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা করতে শুরু করেছিল যে, ঢাকার রাজনৈতিক বিষয়েও আগ্রহী হচ্ছে বেজিং।

এই পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতুর মতো এই বিপুল অঙ্কের এবং কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে চিনকে ফিরিয়ে দেওয়াটা ভারতের কাছে যথেষ্ট অর্থবহ।

এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হতে এখনও কয়েক বছর লাগবে। বাংলাদেশ সরকার সূত্রের বক্তব্য, প্রস্তাবিত কুড়ি কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ঢাকার সঙ্গে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা সে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশকে যুক্ত করবে।