ছুটি বঞ্চিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ভারত


অফিসে রোজকার কাজের চাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত। শরীর-মন দুই ক্নান্ত, অবসন্ন। ছুটি ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু, ছুটি আর পাচ্ছেন কই? বরং স্রেফ ছুটি না পাওয়ার কারণে পারিবারিক অনুষ্ঠানেও থাকতে পারছেন না। যদি ভেবে থাকেন শুধু আপনার সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, তাহলে কিন্তু ভুল করবেন। এদেশে যাঁরা চাকরি করেন, তাদের সকলেরই একই অবস্থা। সমীক্ষা বলছে, ছুটি বঞ্চিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ভারত।

বেকার থাকতে আর কারই বা  ভাল লাগে! পড়াশোনা শেষ হতে না হতেই চাকরি সন্ধানে নেমে পড়েন সকলেই। বহু চেষ্টার পর চাকরিও পেয়ে যান অনেকেই। কারও কারও বেতন বেশ ঈর্ষণীয়। কিন্তু, ছুটি? সেটা তো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পুজো-পার্বণ কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানের কথা না হয় ছেড়েই দিন, নিজের মন ও শরীরকে সতেজ রাখতেও ছুটির প্রয়োজন। কিন্তু, ভারতে অন্তত চাইলেই ছুটি পাওয়া যায় না। বরং উলটোটা হয়। কখনও কাজের চাপে পাওনা ছুটিও নেওয়া যায় না, তো কখনও আবার ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে হয়, এমনকী বাতিলও হয়ে যায়।

সারা বিশ্বের চাকরিজীবীদের বার্ষিক ছুটি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থা। সমীক্ষায় ছুটি বঞ্চিত দেশের তালিকায় শীর্ষে ভারত। গত বছর তালিকায় ভারতের স্থান ছিল পঞ্চমে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চলতি বছরে এদেশে স্রেফ কাজের চাপের কারণে ছুটির পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে কিংবা বাতিল করে দিতে হয়েছে ৬৮ শতাংশ চাকরীজীবীকে। খাতায়-কলমে বছরে যতগুলি ছুটি পাওনা, তার থেকেও কম ছুটি নিয়েছেন প্রায় ৫৩ শতাংশ ভারতীয়। আবার ৩৫ শতাংশ এমন মানুষ আছেন, যাঁরা কাজের চাপে ছুটিই নিতে পারেননি!  কিন্তু, এদেশের ছুটির এত আকাল কেন? সমীক্ষকদের দাবি, এদেশের বেশিরভাগ সংস্থায় প্রয়োজনের তুলনায় কর্মীর সংখ্যা কম। শুধু তাই নয়, চাকরীজীবীদের মধ্যে ছুটি নেওয়া নিয়ে অনীহা আছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২৫ শতাংশ ভারতীয় মনে করেন, তাঁরা যদি ছুটি নেন, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে উঠতে পারবেন না। আর সফল মানুষেরা ছুটি নেন না, এমন ধারণা পোষণ করেন ১৮ শতাংশ মানুষ।