রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে কি বলল আদালত?


কলকাতা:  রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে(স্যাট)। যেখানে জোরাল সওয়াল-জবাব করলেন মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী। সওয়াল জবাবে রীতিমত রাজ্যকে আক্রমণ করেছেন তিন। আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, রাজ্য সরকারি কখনও ডিএ দেব না বলতে পারে না। শুধু তাই নয়। তিনি আরও বলেন, "রাজ্য সরকার ট্রাইব্যুনালে গত ৪ অক্টোবর স্বীকার করেছিল, মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে পুরনো বেশ কিছু নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ আমার প্রশ্ন, সরকার তাহলে ট্রাইব্যুনালকে ডিএ মামলায় কী ভাবে সহযোগিতা করবে? সরকার তো পুরোপুরি অসহায় বলে মনে হচ্ছে"।

প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসে ডিএ নিয়ে সংক্রান্ত মামলায় যুগান্তকারী নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যে রায়ে আদালত জানায়, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা হল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের আইনি অধিকার। তবে কেন্দ্রের সমহারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাবে কিনা সেটা বিচার করবে ট্রাইব্যুনাল। এর পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ এবং সুবেশ কুমার দাসের বেঞ্চে শুরু হয় মামলা। পুজো শেষে আজ বুধবার ফের সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। যেখানে রাজ্যকে একাধিক প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেন আবেদনকারীদের আইনজীবী।

শুনানির শুরুতে মামলাকারী সংগঠনের বলেন, ''দিল্লির বঙ্গভবন বা চেন্নাইয়ে ইউথ হস্টেলে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে তো আর পুরুলিয়ায় কর্মরত কর্মীদের কাজের মধ্যে তফাৎ নেই। তাহলে দু'জায়গার মধ্যে ডিএ বৈষম্য হবে কেন? সরকার তো আর চেঙ্গিস খাঁ নয়? তাছাড়া, ভিন রাজ্যে কর্মরতদের কবে থেকে এ রাজ্যের সরকার কেন্দ্রের হারে ডিএ দিয়ে চলেছে সেই সংক্রান্ত নথিপত্রও তো সরকার খুঁজে পাচ্ছে না। তাহলে ট্রাইব্যুনালকে রাজ্য সরকার এ বিষয়ে কী ভাবে সহযোগিতা করবে? সরকার বরং মেনে নিক তারা এ ব্যাপারে অসহায়। যদিও রাজ্যের তরফেও পালটা একাধিক যুক্তি দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ সওয়াল-জবাব। দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে এদিনের মতো শেষ হয় শুনানি।

বৃহস্পতিবার ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। স্যাট দুপক্ষের বক্তব্য শুনবে বলে মনে করা হচ্ছে।