‌তিন বছর কাজ করলেই পাবেন গ্র্যাচুইটি, সম্মতি কেন্দ্রের


গ্র্যাচুইটি পাওয়ার জন্য আর পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। তিন বছর একটি দপ্তরে কাজ করলেই পাওয়া যাবে গ্র্যাচুইটি। এমনই সুখবর শুনিয়েছে সরকার। সম্প্রতি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার সময়সীমা নিয়ে একটি সংশোধনী পেশ করা হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। তাতে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সব ঠিক থাকলে ২০১৮–র ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে নয়া বিধি। অর্থাৎ এই বছরে যে সব সরকারি কর্মীদের কাজের মেয়াদ তিন বছর হচ্ছে, তাঁরাও গ্র্যাচুইটি দাবি করতে পারবেন।

১৯৭২ সালের তৈরি হওয়া গ্র্যাচুইটি আইন অনুযায়ী যে কোনও সরকারি দপ্তরে পাঁচ বছর কাজ করলেই গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী হতেন কর্মীরা। সেই আইন সংশোধন করে পাঁচ বছরের মেয়াদ কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শ্রমমন্ত্রক নাকি এই নিয়ে প্রথম উদ্যোগী হয়েছিল। সেই প্রস্তাব শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকেই কেন্দ্রীয় বোর্ড অব ট্রাস্টির কাছে পেশ করা হয়।

সেই প্রস্তাবের পাঁচ বছরের মেয়াদ তিন বছর কমিয়ে আনার পাশাপাশি স্থায়ী চুক্তিতে আনা কর্মীদেরও গ্র্যাচুইটি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থাতেই অস্থায়ী কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পান না। তবে অনেকরই জানা নেই, আইন অনুযায়ী অস্থায়ী হলেও কোনও কর্মী যদি দীর্ঘদিন সেই সংস্থায় কাজ করেন তাহলে তিনি আংশিক গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী।

১৯৭২ সালের আইন অনুযায়ী কারখানা, খনি, তেল উৎপাদন কেন্দ্র, উদ্যান পালন, বন্দর, রেল এবং দোকান সহ একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারি। ১০–এর অধিক কর্মী কাজ করেন এমন সংস্থায় কর্মীরা যদি টানা পাঁচ বছর কাজ করেন তাহলে তাঁরা এই সুবিধা পাবেন। গত কয়েক বছর ধরেই নাকি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই গ্র্যাচুইটির সময়সীমা কমানোর জন্য শ্রম দপ্তরের কাছে আবেদন জমা পড়ছিল।  গত মার্চেই কেন্দ্রের তরফে বেসরকারি ক্ষেত্রে  ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে। ‌‌