ক্যাপ্টেনদের আলুর বীজে নিষেধাজ্ঞা মমতার সরকারের


কলকাতা:  পঞ্জাবের বীজ না নিয়েই শীতে ভালো আলু ফলাবে চাষিরা। এমনটাই দাবী টাস্ক ফোর্সের। চাষিরা বাংলার চাষিরা এখন নিজেই বীজ তৈরি করছেন। ফলে বাইরে থেকে কম বীজ কিনতে হচ্ছে। এই কারনেই ইচ্ছাকৃত বীজের দাম দাম বাড়াচ্ছে তারা।

হিমাচলের আলুর বীজে বিষ রয়েছে। বীজ ব্যবহার করলে মানুষের শরীরে প্রভাব পরার পাশাপাশি জমির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে দেশ জুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের আলুর বীজ। হিমাচল এবং পঞ্জাব থেকে বীজ কেনে পশ্চিমবঙ্গও।

ফলে চাষিদের পকেট খালি হলে অনেকেই আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। টাস্ক ফোর্স দাবী করছে , স্বনির্ভর চাষিরা এখন নিজেরই আলুর বীজ বানাচ্ছে। ফলে পঞ্জাবের বীজ না কিনলেও রাজ্যের ভালভাবেই চলে যাবে।

টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, "আমি মনে করি না আলুর দাম বৃদ্ধির বিশেষ আশঙ্কা রয়েছে। হাপিত্যেশ করার কিচ্ছু হয়নি। পঞ্জাবের থেকে আমরা কম বীজ কিনছি বিগত কয়েক বছর ধরেই। আমাদেরকে চাপে ফেলার জন্য বীজের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু আমি বলব তাতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। রাজ্যের চাষিরা এখন অনেক স্বনির্ভর।"

কমলবাবু বলেন, "গত চার বছর ধরে আমরা ধীরে ধরে পঞ্জাবের থেকে বীজ নেওয়া কমিয়েছি। আগে ২০ লক্ষ টন বীজ নেওয়া হত। সেটা কমে এখন ৮ থেকে ৯ লক্ষ টনে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। অর্থাৎ ওদের ৬০ শতাংশ বাজার নষ্ট হয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশে আমাদের পাতে মারার চেষ্টা।।" তবে পঞ্জাবের এই প্রচেষ্টা বিফলে যাবেই বলে জানিয়ে দিচ্ছে আত্মবিশ্বাসী টাস্কফোর্স।

উলটে কমলবাবুর আশঙ্কা অন্য। চাষিরা আবারও মার খেতে পারে অন্য জায়গায়। কারন পোখরাজ, এস ওয়ান এবং আরও কয়েক প্রকার আলু নিয়ে কোল্ড স্টোরেজে এখনও ২২ লক্ষ মেট্রিক টন আলু রয়েছে। নতুন আলু ওঠার আগে খুব বেশী হলে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আলু লাগতে পারে সারা রাজ্যে। বাকি ১২ লক্ষ মেট্রিক টন আলুর কি হবে? এখানেই চাষির ঘর মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা টাস্কফোর্স কর্তার।

পিঁয়াজ ফলনেও রাজ্য উন্নতি করেছে বলে জানাচ্ছেন কমলবাবু। ফলে আগামী কয়েক বছরে ঠিকঠাক সংরক্ষণ এবং সাবলম্বী হলে আলু ও পিঁয়াজ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হতে পারে রাজ্য।