স্কাইওয়াকে থুতু, ধুতে হল অভিযুক্তকে


স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটে মন্দিরে যাচ্ছিলেন এক যুবক। আচমকাই তাঁর হাত চেপে ধরলেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তার পরেই দেখা গেল, জল ঢেলে একটি জায়গা ধুচ্ছেন ওই যুবক। অভিযোগ, তিনি স্কাইওয়াকে থুতু ফেলেছেন। তাই শাস্তি হিসেবে জায়গাটি ধুয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন ওই নিরাপত্তারক্ষী।

জনসাধারণের যাতায়াত শুরুর প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালেই পান-গুটখার পিকে চিত্রিত হয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের রানি রাসমণি স্কাইওয়াক। নজরে আসতেই তা সাফ করে দেন কর্মীরা। এক দিন পরে, বৃহস্পতিবার সকালে ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে এ বার যিনি অন্যায় করলেন, তাঁকেই সাফ করতে হল। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ''স্কাইওয়াক নোংরা করলে জরিমানা করার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। মানুষ যদি সচেতন না হন, তা হলে তো ব্যবস্থা নিতেই হবে।''

এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ মন্দিরে যাওয়ার সময়ে স্কাইওয়াকের মাঝামাঝি জায়গায় বসিরহাটের বাসিন্দা ওই যুবক থুতু ফেলেন বলে অভিযোগ। তা চোখে পড়ে যায় কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী ও এক ইঞ্জিনিয়ারের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তাঁকে ধরে ফেলেন। প্রথমে স্বীকার না করলেও রক্ষীরা জানান, পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। 

এর পরেই ওই যুবক ভুল স্বীকার করেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষীরা ওই যুবককে বলেন জায়গাটি জল দিয়ে ধুয়ে দিতে। রক্ষীদের আনা জল দিয়ে তা ধুয়ে দেন ওই যুবক। পরে তাঁকে দক্ষিণেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে বকাবকি করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, ওই যুবক নিজের ভুল স্বীকার করে জানান, তিনি এক বছর পরে মন্দিরে এলেন। তাই নিয়ম জানতেন না। 

কিন্তু চার দিকে প্রচারের বোর্ড যে লাগানো, তা তিনি কেন দেখেননি? সে বিষয়ে ওই যুবক কোনও উত্তর দিতে পারেননি বলে জানান নিরাপত্তারক্ষীরা।

স্কাইওয়াক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষকে। সাফাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে কামারহাটি পুরসভা। কুশলবাবু বলেন, ''স্কাইওয়াক আমাদের দেশের গর্ব। মানুষ যদি তা না বোঝেন, সেটা দুর্ভাগ্যের। একে রক্ষা করতে আমাদের কড়া হতে হবে।''