যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক! চাঞ্চল্যকর তথ্য তদন্তে


পলাশিপাড়ায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে শুটআউট করে খুনের ঘটনার তদন্ত চাঞ্চল্যকর মোড় নিল। তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নিছক সন্দেহ নয়, নিহত সুভাষ বিশ্বাসের সঙ্গে বিভাসের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয়, যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতেন সুভাষ। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।  

তদন্তকারীরা ধৃত বিভাস মণ্ডল, তার স্ত্রী ও অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, গর্ভনিরোধক ওষুধের নাম করে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাওয়ানো হত বিভাসের স্ত্রীকে। বন্ধুর অনুপস্থিতিতে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন সুভাষ। সেই কারণে আগেও দুবার তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বিভাস।

পুলিশি জেরায় বিভাস স্বীকার করেছে এই খুনের পরিকল্পনার কথা। এবারও সে আগাম খুনের পরিকল্পনা করে। সেইমতো অভিন্ন হৃদয় বন্ধুকে চা দোকানে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করে বিভাস। পলাশিপাড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সুভাষ। হঠাৎ তাঁর বন্ধু প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ান বিভাস মণ্ডল সেখানে এসে উপস্থিত হয়। দোকানে ঢুকেই পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি চালিয়ে দেয় সুভাষকে লক্ষ্য করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুভাষ অভিন্ন হৃদয় বন্ধু হলেও সম্প্রতি তাঁকে সন্দেহ করতে শুরু করেছিল বিভাস। তার জেরেই খুনের পরিকল্পনা। এবার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারল, বিভাসের সন্দেহ নিছক সন্দেহ ছিল না। তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল প্রাণের বন্ধু সুভাষ। তবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অন্যান্য সবদিকই খতিয় দেখা হচ্ছে। পুলিশের হাতে উঠে আসা তথ্যও কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।