যে দেশ ৩০০০ কোটির মূর্তি বানায়, তাদের সাহায্য করা উচিৎ নয়: ব্রিটেন


লন্ডন: বিশ্বের সবথেকে উঁচু মূর্তি বানিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছে মোদী সরকার। 'স্ট্যাচু অফ লিবার্টি'র দ্বিগুণ উচ্চতার 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি' নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। তবে ভারতের এই মূর্তিতে মোটেই খুশি নয় একসময়ের শাসক দেশ ব্রিটেন। বিপুল করছে এই মূর্তি তৈরিকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না তারা।

কয়েকদিন আগেই এক ব্রিটিশ মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে যে, বিভিন্ন খাতে ভারতকে প্রায় ১১ হাজার কোটির অর্থ সাহায্য করেছিল ভাতর। আর সেই টাকা থেকেই ৩০০০ কোটি খরচে মূর্তি বানিয়েছে ভারত সরকার। মহিলাদের অধিকার, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা সহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সচেতনতামূলক কাজের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছিল ভারতকে।

এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের একজন এমপি বলেন, "আমাদের কাছ থেকে ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা) সাহায্য নিয়ে ৩৩০ মিলিয়ন পাউন্ড (৩০০০ কোটি টাকা)-এর মূর্তি বানানো হয়েছে।" এই কাজকে 'ননসেন্স' বলে আখ্যা দেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি পিটার বোন আরও বলেন, "কীভাবে তারা টাকাটা খরচ খরচ করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। তবে যারা এত টাকা দিয়ে মূর্তি বানাতে পারে, তাদের কোনও অর্থ সাহায্য করা উচিৎ নয়।"

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চারটি ভাগে এই অর্থ সাহায্য গ্রহণ করেছিল ভারত। প্রথম পর্যায়ে ২০১২ সালে ভারতকে দেওয়া হয় ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড, ২০১৩ তে ব্রিটেন দেয় ২৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড, ২০১৪ তে দেয় ২৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড ও ২০১৫ তে দেয় ১৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সেখানকার রাজনীতিকরা জানিয়েছেন যে, তাঁরা মনে করেন বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দেশ হিসেবে ভারতকে অর্থ সাহায্য করার প্রয়োজন নেই। ভারত যে পরিমাণ বিদেশি অনুদান পায়, তার থেকে অনেক বেশি টাকা তারা নিজেরাই তুলনায় গরীব দেশকে দান করে।

গত ৩১ অক্টোবর গুজরাতে নর্মদা নদীর উপর তৈরি হওয়া ২০০০ টনের ব্রোনজের বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি উন্মোচন করেন। মূর্তিটি উচ্চতায় ১৮২ মিটার।