‌৩০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, আইআইটি খড়গপুর ড্রপআউট সহ ধৃত ৯


৩০ কোটি টাকার আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে একটি বহুজাতিক ঋণ দানকারী কোম্পানির ৯ জন গ্রেপ্তার হল। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। সাইবারাবাদ পুলিস জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ওই কোম্পানির সিইও, দুজন ডিরেক্টর এবং আরও ৬ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন আইআইটি খড়গপুরের ড্রপআউট। ধৃতদের মোট ৪০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। '‌প্রো হেল্দিওয়েজ্‌ ইন্টারন্যাশনাল'‌ নামে মালাকপেটের ওই কোম্পানিটি জিমের যন্ত্রপাতি, আযুর্বেদিক পণ্য বিক্রি করত। গত দু'‌বছর ধরে তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কমপক্ষে ৪০০০০ মানুষকে কমিশনের টোপ দিয়ে তাঁদের কোম্পানির সদস্য করত অভিযুক্তরা। এজন্য নতুন সদস্যদের কোম্পানিকে নূন্যতম ৪০০০ টাকা দিতে হত। ৯ জনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ১৯৭৮ সালের প্রাইজ চিটস্‌ অ্যান্ড মনি সার্কুলেশন স্কিমস্‌(‌ব্যানিং)‌–এর আওতায় একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাইবারাবাদ পুলিসের কমিশনার ভিসি সজ্জনার জানালেন, এক ব্যক্তির কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে শামিরপেট থানার পুলিস '‌প্রো হেল্দিওয়েজ্‌ ইন্টারন্যাশনাল'‌–এর ২৩ বছরের সিইও মহম্মদ রিজওয়ান ইউনুসকে গ্রেপ্তার করে। কোম্পানির দুই ডিরেক্টর– ইউনুসের বাবা, ৬১ বছরের মহম্মদ ইশাক এবং ২৭ বছরের ভাট্টু সাইকোন্ডা হর্ষবর্ধন রাজু নামে আইআইটি খড়গপুরের ড্রপআউট ছাত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে বাকি তিন আইআইটি খড়পুরের ছাত্র সহ ৬ জনকে পাকড়াও করে পুলিস। সাধারণত কর্মহীন যুবক–যুবতীদেরই জালে ফেলার চেষ্টা করত অভিযুক্তরা। এর আগে তারা চেন্নাইয়ে একটি কোম্পানিতে কাজ করত। পরে নিজেরাই ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করে। রাজস্থান, লুধিয়ানা থেকে কম দামে খারাপ আয়ুর্বেদিক পণ্য কিনে তা বিদেশি এবং দামি পণ্য বলে বিক্রি করা হত গ্রাহকদের।