প্রেমিকার দেহ তিন খণ্ড করে বন্ধুর বাগানবাড়িতে মাটিচাপা!

জেহাঙ্গির খান (সামনে)

এটি একটি প্রেমের কাহিনি। ছেলেটি সুন্দর দেখতে, তবে তার ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে। মেয়েটিও সুন্দরী। তারা একে অপরকে ভালবাসে এবং তিন বছর আগে তাদের এনগেজমেন্ট হয়। 

কিছুদিন পরই জেনাব খান (২১) জানতে পারে তার প্রেমিক জেহাঙ্গির খানের সঙ্গে অপর এক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের রামনগরে থাকে সেই মহিলা। বার বার জেহাঙ্গিরকে সেখানে যেতে দেখে একদিন জেনাব নিজেই সেখানে উপস্থিত হয়। এবং অশান্তি করে। সেখানে গিয়ে সমস্ত ঘটনা ওই মহিলাকে জেনাব বলে দেয় এবং তারা দু'জনেই যে জেহাঙ্গিরের কাছে ঠকেছে তা তারা বুঝতে পারে।

এরপরই ঘটে অঘটন। বাড়ি থেকে জেনাবকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে জেহাঙ্গির। জেনাবের দেহকে তিন টুকরো করে নদীর পারে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ১৪ নভেম্বর মেয়েটির বাড়ির থেকে অপহরণের অভিযোগ দায়েরের পরই পুলিশ জেহাঙ্গিরের কল রেকর্ডে নজর দেয়। জেহাঙ্গির, তার বাবা এবং এক বন্ধুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

রামপুরের এসপি শিব হরি মীনা জানিয়েছেন, জেহাঙ্গির ছক কষেছিল। ইমরোজ নামে এক বন্ধু এতে তাকে সাহায্যও করে। জেনাবকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইমরোজের ফার্মহাউজে নিয়ে যায় তারা। সেখানে জেহাঙ্গিরের বাবা, ভাই এবং এক কর্মী জেনাবকে প্রথমে খুন করে। এরপর সেই দেহ তিন টুকরো করে ফেলে। ফার্মহাউসের কাছেই নদীর পাশের জঙ্গলে সেই দেহতে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। 

পুলিশের জালে ধরার পড়ার পরও জেহাঙ্গির পুলিশি তদন্তে অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ। জেহাঙ্গিরের বাবা, ভাই ও কর্মী এখনও পলাতক। চারটি বিশেষ দল গঠন করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।