একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রসূতি


নামখানা: একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর আনন্দের থেকে দুশ্চিন্তায় আছেন প্রসূতি মা–সহ গোটা পরিবার। সদ্যোজাত চার সন্তানের মধ্যে দু'‌টি ছেলে ও দু'‌টি মেয়ে। গত ৩ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন নামখানার বাসিন্দা বর্ণালী খাটুয়া। জন্মের সময় প্রত্যেকটি সন্তানের ওজন ছিল খুবই কম। তার জন্য প্রায় দু'‌মাস এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হয়েছিল চার সদ্যোজাতকে। থাকতে হয়েছিল মা-‌সহ পরিবারের লোকজনদের। গত তিন দিন আগে চার সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরলেও খাটুয়া পরিবারে এখন দুশ্চিন্তা একসঙ্গে চার শিশুকে লালন পালন করা। বিশেষ করে দুধ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ খাটুয়া পরিবারের আয় খুব সামান্য। স্থানীয় এক শিশু চিকিৎসক চার শিশুকে বিনা খরচে চিকিৎসা করবেন বলে জানিয়েছেন। খাটুয়া পরিবার চাইছে আরও সহযোগিতা ও সাহায্য।

নামখানা বাস স্ট্যান্ডের পাশেই খাটুয়া পরিবারের বাস। বছর বত্রিশের লক্ষ্মীকান্ত চাষবাস করতেন। কিন্তু নিয়মিত কাজ না মেলায় দু'‌বছর আগে বেঙ্গালুরুর চলে যান। সেখানে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। এরমধ্যে ২০১৬ সালে বর্ণালীকে বিয়ে করেন। প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হন বছর চব্বিশের বর্ণালী। ইউএসজি করে জানা গিয়েছিলেন, বর্ণালীর গর্ভে তিনটি সন্তান বেড়ে উঠছে। এরমধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রসব যন্ত্রণা ওঠে বর্ণালী। স্থানীয় ব্লক হাসপাতাল ও কাকদ্বীপ হাসপাতাল ঘুরে ভর্তি হন এসএসকেএমে। সেখানেই সিজারে চার সন্তানের জন্ম দেন বর্ণালী।

দুই ছেলে অয়ন ও অর্পণ, দুই মেয়ে অনিশা ও অন্বেষা। চার ভাইবোন এখন একসঙ্গে বেড়ে উঠছে। পাশাপাশি শুয়ে থাকে। কান্নার আওয়াজে গমগম করে ওঠে খাটুয়াদের ছোট একতলা বাড়ি। পরিবারের সব সদস্যরা চার জনকে নিয়ে ব্যস্ত। মা বর্ণালীর আবেদন, '‌জন্ম দেওয়ার পর ডাক্তার আমাকে চার সন্তানকে দেখান। তখন থেকে আনন্দের পাশাপাশি দুশ্চিন্তার আছি। কারণ ওই চার জনকে মানুষ করা খুব কঠিন কাজ। আমি নিজেও সুস্থ নই। এখন চাইছি কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।'‌‌